Thursday, December 16, 2010

কোরআনে শব্দ ও আয়াতের পুনরাবৃত্তি রহস্য-১


কোরআন শরীফে সুরা “আল ফজর” এর ৭ নম্বর আয়াতে “ইরাম” নামক একটি গোত্র কিংবা শহরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু “ইরাম” এর নাম কোন ইতিহাসে পাওয়া যায় না। তাই কোরআন শরীফের তাফসীরকারকরাও সুস্পষ্টভাবে এ শব্দটির অর্থ বলতে সক্ষম হননি।
১৯৭৩ সালে সিরিয়ার “এরলূস” নামক একটি পুরনো শহরে খনন কার্যের সময় কিছু পুরনো লিখন পাওয়া যায়।
এ সমস্ত লিখন পরীক্ষা করে সেখানে চার হাজার বছরের একটি পুরনো সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ লিখনগুলোর ভেতর “ইরাম” শহরের উল্লেখ আছে। একসময় এরলুস অঞ্চলের লোকজন “ইরাম” শহরের লোকজনের সংগে ব্যবসা-বানিজ্য করতো। এ সত্যটা আবিষ্কৃত হলো মাত্র সেদিন অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে। প্রশ্ন হচ্ছে, দেড় হাজার বছর আগে নাযিল করা কোরআন শরীফে এই শহরের নাম এলো কি করে? আসলে কোরআন শরীফ হচ্ছে আল্লাহর বাণী, আর আল্লাহ তাআলা এখানে “ইরাম” শহরের উদাহরণ দিয়েছেন।
কোরআন শরীফে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর একজন দুশমনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সে হচ্ছে আবু লাহাব। ওহী নাযিল হওয়ার পর যদি আবু লাহাব ইসলাম কবুল করতো তাহলে কোরআন শরীফের আয়াতটি মিথ্যা প্রমানিত হতো, কিন্তু আবু লাহাব ইসলাম কবুল করেনি এবং কোরআন শরীফের বাণী চিরকালের জন্য সত্য হয়েই রয়েছে।
কোরআন শরীফে সুরা “আর রোম” –এ পারস্য সম্রাজ্য ধ্বংসের ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে এবং যে সময় এই ওহী নাযিল হয় তখন মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা অকল্পনীয় ছিল যে, রোমকদের যারা পরাজিত করলো তারা অচিরেই তাদের হাতে ধ্বংস হতে পারে , কিন্তু কোরআন শরীফ এ বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছে এবং এ আয়াত নাযিল হবার ৭ বছর সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ৬২৭ খ্রীস্টাব্দে এসে সত্য প্রমানিত হয়েছে।
এ আয়াতে “ফি আদনাল আরদ” বলে আল্লাহ তায়ালা গোটা ভূ-মণ্ডলের যে স্থানটিকে “সর্বনিম্ন অঞ্চল” বলেছেন তা ছিলো সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও জর্দানের পতিত “ডেড সী” এলাকা। এ ভূখন্ডতেই ৬২৭ খ্রীস্টাব্দে রোমানরা ইরানীদের পরাজিত করে। মাত্র কিছুদিন আগে আবিস্কৃত ভূ-জরিপ অনুযায়ী এটা প্রমানিত হয়েছে যে, এই এলাকাটা সারা দুনিয়ার মধ্যে আসলেই নিম্নতম ভূমি। “সী লেভেল” থেকে ৩৯৫ মিটার নীচে। এ জায়গাটা যে গোটা ভূ-খন্ডের সবচেয়ে নিচু জায়গা এটা ১৪ শ বছর আগের মানুষেরা কি করে জানবে। বিশেষ করে এমন একজন মানুষ যিনি ভূ-তত্ব প্রাণীতত্ত্ব ইত্যাদী কোন তত্ত্বেরই ছাত্র ছিলেন না।
কোরআনের আরেকটি বিষ্ময়কর বিষয় হচ্ছে লোহা ধাতুর বিবরণ। কোরআনের সুরা “আল হাদীদ” এ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আমি লোহা নাযিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও মানুষদের জন্যে প্রভূত কল্যাণ ।” লোহা নাযিলের বিষয়টি তাফসীরকারকরা নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন; কিন্তু যেখানে আল্লাহ তায়ালার স্পষ্ট “নাযিল” শব্দটি রয়েছে সেখানে এত ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের দিকে না গিয়ে আমরা যদি কোরআনের আক্ষরিক অর্থের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো, আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবনীও ঠিক একথাটাই বলছে। পদার্থবিজ্ঞানীরা বলেন, লোহা উৎপাদনের জন্য যে ১৫ লক্ষ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন তার কোনো উপকরণ আমাদের পৃথিবীতে নেই। এটা একমাত্র সূর্যের তাপমাত্রা দ্বারাই সম্ভব। হাজার হাজার বছর আগে সূর্যদেশে প্রচন্ড বিস্ফোরণের ফলে লোহা নামের এ ধাতু মহাশূন্যে ছিটকে পড়ে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে তা পৃথিবীতে “নাযিল” হয়। লোহা সম্পর্কে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিস্কৃত তথ্য ঠিক একথাটাই প্রমাণ করেছে। দেড় হাজার বছর আগের আরব বেদুইনরা বিজ্ঞানের এই জটিল তথ্য জানবে কি করে?
এই সুরার আরেকটি অংকগত মোজেযাও রয়েছে। ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী “সুরা আল হাদীদ” কোরআনের ৫৭ তম সুরা। আরবীতে “সুরা আল হাদীদ” –এর সংখ্যাগত মান হচ্ছে ৫৭ । শুধু “আল হাদীদ” শব্দের অংকগত মান হচ্ছে ২৬, আর লোহার আনবিক সংখ্যা মানও হচ্ছে ২৬ ।
(চলবে)

তথ্যসূত্রঃ
আল কোরআন একাডেমী, লন্ডন থেকে প্রকাশিত হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ এর “কোরআনের সহজ সরল বাংলা অনুবাদ” বইয়ের ২১ নং পৃষ্ঠা।

কোরআনে শব্দ ও আয়াতের পুনরাবৃত্তি রহস্য-২ : অংকগত মোজেযা


কোরআনে অনেক জায়গায়ই একের সংগে অন্যের তুলনা উপস্থিত করা হয়েছে। এই তুলনা উপস্থিত করার ব্যাপারে একটি অবিশ্বাস্য মিল অবলম্বন করা হয়েছে এবং তা হচ্ছে, সে দুটি নাম বা বস্তুকে সমান সংখ্যাতেই আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন। যেমন, কোরআন শরীফের সুরা “আল-ইমরান” এর ৫৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “আল্লাহ তাআলার কাছে ঈসার তুলনা হচ্ছে আদমের মতো” ।

এটা যে সত্য আমরা বুঝতে পারি। কারণ মানবজন্মের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এদের কারোরই জন্ম হয়নি। এই তুলনাটি যে কতো সত্য তার প্রমান পাওয়া যায় যখন আমরা কোরআন শরীফে এ দুটি নামের মোট সংখ্যা অনুসন্ধান করি। দেখা যাচ্ছে , কোরআন শরীফে ঈসা (আ.) নামটি যেমন ২৫ বার এসেছে, তেমনি আদম (আ.) নামটিও এসেছে ২৫ বার। কোরআনের বাণীগুলো যে মানুষের নয় তা বোঝা যায় এ দুটি নামের সংখ্যার সমতা দেখে। আল্লাহ তায়ালা যেহেতু বলেছেন এ দুটো একই রকম। তাই সেগুলোর সংখ্যা গণনাও ঠিক একই রকম রাখা হয়েছে।
এই তুলনার ক্ষেত্রে আরেকটি অলৌকিক বিষয় হলো, যেখানে তুলনাটি অসম সেখানে সংখ্যা দুটিকেও অসম বলা হয়েছে। যেমন, কোরআনে বলা হয়েছে, “সুদ” এবং বাণিজ্য এক নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি কোরআনে এসেছে ছয়বার অন্যটি এসেছে সাতবার।
বলা হয়েছে, “জান্নাতের অধিবাসী, জাহান্নামের অধিবাসী সমান নয়”। জান্নাতের সংখ্যা হচ্ছে আট আর জাহান্নামের সংখ্যা হচ্ছে সাত।

সূরা “আরাফ” -এ এক আয়াতে আছে “যারা আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে কুকুরের মতো ”। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয় যখন আমরা দেখি, ““যারা আমার সুস্পষ্ট আয়াতকে অস্বীকার করে” এই বাক্যটি কোরআনে সর্বমোট ৫ বার এসেছে। যেহেতু তাদের উদাহরণ দেয়া হয়েছে কুকুরের সাথে, তাই সমগ্র কোরআনে “আল কালব” তথা কুকুর শব্দটাও এসেছে ৫ বার।
“সাবয়া সামাওয়াত” কথাটির অর্থ হলো “সাত আসমান”। আশ্চর্যের বিষয় হলো, কোরআনে এই “সাত আসমান” কথাটা ঠিক সাত বারই এসেছে। “খালকুস সামাওয়াত” আসমানসমূহের সৃষ্টি কথাটাও ৭ বার এসেছে, সম্ভবত আসমান ৭ টি তাই। “সায়াতু আইয়াম” মানে ৭ দিন। একথাটাও কোরআনে ৭ বার এসেছে।
অংকগত মোজেযা এখানেই শেষ নয়।
“দুনিয়া ও আখেরাত” এ দুটো কথাও কোরআনে সমান সংখ্যায় এসেছে, অর্থাৎ সর্বমোট ১১৫ বার করে।
“ঈমান ও কুফর” শব্দদুটো সমপরিমানে বলা হয়েছে, অর্থাৎ ২৫ বার করে।

“গরম” ও “ঠান্ডা” যেহেতু দুটো বিপরীতমুখী ঋতু, তাই এ শব্দ দুটো সমান সংখ্যায় এসেছে ১১৫ বার করে।
আরবী ভাষায় “কুল” মানে বলো, তার জবাবে বলা হয় “কালু” মানে তারা বললো। সমগ্র কোরআনে এ দুটো শব্দও সমান সংখ্যকবার এসেছে, অর্থাৎ ৩৩২ বাড় করে।

“মালাকুন” কিংবা “মালায়েকা” মানে ফেরেশতা কিংবা ফেরেশতারা। কোরআনে এ শব্দটি এসেছে ৮৮ বাড়, একইভাবে ফেরেশতার চির শত্রু “শয়তান কিংবা “শায়াতীন” এ শব্দটিও এসেছে ৮৮ বার।
“আল খাবিস” মানে অপবিত্র, “আত তাইয়েব” মানে পবিত্র। সমগ্র কোরআনে এ দুটি শব্দ মোট ৭ বার করে, অর্থাৎ একই সংখ্যায় নাযিল হয়েছে।

প্রশ্ন জাগতে পারে ভালোর চাইতে মন্দই তো বেশী, তাহলে এ দুটো শব্দকে সমান রাখা হলো কিভাবে। এ কথার জবাবের জন্য সুরা আনফালের ৩৭ নং আয়াতটির দিকে লক্ষ্য করা যাক। এখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “অপবিত্রকে পবিত্র থেকে আলাদা করার জন্যে তিনি অপবিত্রকে একটার ওপর আরেকটা রেখে পুঞ্জীভূত করেন এবং সেগুলোকে জাহান্নামের আগুনে ফেলে দেন”। এতে বুঝা যায় যদিও “পাপ পূন্য” সমান সংখ্যায় এসেছে, কিন্তু “পুঞ্জীভূত” করা দিয়ে তার পরিমান যে বেশী তা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
(চলবে)

তথ্যসূত্রঃ
আল কোরআন একাডেমী, লন্ডন থেকে প্রকাশিত হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ এর “কোরআনের সহজ সরল বাংলা অনুবাদ” বইয়ের ২২ নং পৃষ্ঠা।

কোরআনে শব্দ ও আয়াতের পুনরাবৃত্তি রহস্য- শেষপর্ব : বিষ্ময়কর গাণিতিক মিল

আগের পর্বগুলোঃ
কোরআনে শব্দ ও আয়াতের পুনরাবৃত্তি রহস্য-১
কোরআনে শব্দ ও আয়াতের পুনরাবৃত্তি রহস্য-২ : অংকগত মোজেযা

“ইয়াওমুন” মানে দিন। সমগ্র কোরআনে এ শব্দটি ৩৬৫ বার উল্লেখ করা হয়েছে। বছরে যে ৩৬৫ দিন এটা কে না জানে। ইয়াওমুন শব্দের বহুবচন “আইয়াম” মানে দিনসমূহ, এ শব্দটি এসেছে ৩০ বার। আরবী ভাষায় “চাঁদ” হচ্ছে মাসের সূত্র সূচক, গড়ে বছরের প্রতি মাসে ৩০ দিন, এটাই হচ্ছে চান্দ্রবছরের নিয়ম। হতবাক হতে হয় যখন দেখি চাঁদের আরবী প্রতিশব্দ “কামার” শব্দটি কোরআনে মোট ৩০ বারই এসেছে।

“শাহরুন” মানে মাস, কোরআন মাজীদে এ শব্দটি এসেছে মোট ১২ বার। “সানাতুন” মানে বছর, কোরআনে এ শব্দটি এসেছে ১৯ বার। কারণ হিসেবে আমরা সম্প্রতি আবিস্কৃত গ্রীক পন্ডিত মেতনের “মেতনীয় বৃত্তের” কথা উল্লেখ করতে পারি। তিনিই প্রথম এ তত্ত্বটি আবিস্কার করেন যে, প্রতি ১৯ বছর পর সূর্য ও পৃথিবী একই বৃত্তে অবস্থান করে।
কোরআনে “ফুজ্জার” (পাপী) শব্দটি যতবার এসেছে, “আবরার” (পূণ্যবান) শব্দটি তার দ্বিগুন এসেছে। অর্থাৎ “ফুজ্জার” ৩ আর “আবরার” ৬ বার। এর কারণ হচ্ছে, শাস্তির তুলনায় পুরস্কারের পরিমান আল্লাহ তাআলা সব সময় দ্বিগুন করে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। কোরআনের সুরা সাবা’র ৩৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন “এ ধরনের লোকদের জন্যই (কেয়ামতে) দ্বিগুন পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে। এটা হচ্ছে বিনিময় সে কাজের যা তারা দুনিয়ায় করে এসেছে”। এ কারণেই দেখা যায়, গোটা কোরআনে “পাপী” ও “পূন্যবাণ” শব্দের মতো “আযাব” শব্দটি যতবার এসেছে, “সওয়াব” শব্দটি তার দ্বিগুন এসেছে। অর্থাৎ আযাব ১১৭ বার, সওয়াব ২৩৪ বার।
কোরআনে একাধিক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করলে তিনি তার বিনিময় বাড়িয়ে দেবেন। সম্ভবত এ কারণেই কোরআনে “গরীবী” শব্দটি এসেছে ১৩ বার, আর বিপরীতে “প্রাচুর্য” শব্দটি এসেছে ২৬ বার।
কোরআনে কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে গাণিতিক সংখ্যার অদ্ভুত মিল দেখে কোরআনের যে কোন পাঠকই বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে ভাবতে থাকে, এটা নিঃসন্দেহে কোন মানুষের কথা নয়।
কোন একটি কাজ করলে তার যে অবশ্যম্ভাবী ফল দাঁড়াবে তার উভয়টিকেই আশ্চর্যজনকভাবে সমান সংখ্যায় বর্ণনা করা হয়েছে। “গাছের চারা উৎপাদন” করলে গাছ হয়। তাই এই দুটো শব্দই এসেছে ২৬ বার করে। কোন মানুষ “হেদায়াত” পেলে তার প্রতি রহমত বর্ষিত হয়, তাই এ দুটো শব্দ কোরআনে এসেছে ৭৯ বার করে। “হায়াত” এর অপরিহার্য পরিণাম হচ্ছে “মওত”। এ শব্দদুটোও এসেছে ১৬ বার করে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন “যাকাত” দিলে “বরকত” আসে, তাই কোরআনে দুটো শব্দই এসেছে ৩২ বার করে। “আবদ” মানে গোলামী, আর আবীদ মানে গোলাম। গোলামের কাজ গোলামী করা, তাই কোরআনে এই উভয় শব্দই এসেছে ১৫২ বার করে। “মানুষ সৃষ্টি” কথাটা এসেছে ১৬ বার, আর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে “এবাদত”; সুতরাং তাও এসেছে ১৬ বার। “নেশা” করলে “মাতাল” হয়, তাই এ দুটো শব্দও এসেছে ৬ বার করে।
কোরআনে ইনসান শব্দটি এসেছে ৬৫ বার। এবার ইনসান বানাবার উপকরণগুলোকে বিভিন্ন জায়গা থেকে যোগ করে মিলিয়ে দেখা যাক:
প্রথম উপাদানঃ “তোরাব” (মাটি) এসেছে – ১৫ বার
দ্বিতীয় উপাদানঃ “নুতফা” (জীবণকণা) এসেছে – ১২ বার
তৃতীয় উপাদানঃ “আলাক” (রক্তপিন্ড) এসেছে -৬ বার
চতুর্থ উপাদানঃ “মোদগা” (মাংসপিন্ড) এসেছে – ৩ বার
পঞ্চম উপাদানঃ “এযাম” (হাড়) এসেছে – ১৫ বার
সর্বশেষ উপাদানঃ “লাহম” (গোশত) এসেছে – ১২ বার ।

উপাদানগুলো যোগ করলে যোগফল হবে ঠিক ৬৫ । আর এসব উপাদান দিয়ে যে “ইনসান” বানানো হয়েছে তাও ঠিক ৬৫ বারই উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনের সুরা “আল ক্বামার” –এর প্রথম যে আয়াতটিতে চাঁদ বিদীর্ণ হওয়ার সাথে কেয়ামতের আগমন অত্যাসন্ন কথাটি বলেছেন, আরবী বর্ণমালার আক্ষরিক মান হিসাব করলে তার যোগফল হয় ১৩৯০, আর এই ১৩৯০ হিজরী (১৯৬৯ খৃষ্টাব্দ) সালেই মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে, জানিনা এটা কোরআনের কোন মোজেযা, না তা এমনিই এক ঘটনাচক্র, কিন্তু আল্লাহ তাআলার এই মহান সৃষ্টিতে তো ঘটনাচক্র বলে কিছু নেই। এ কারণেই হয়তো মানুষের চাঁদে অবতরনের সাথে কোরআনের আলোচ্য আয়াতটির সংখ্যামানের এই বিস্ময়কর মিল আমরা দেখতে পাচ্ছি।

Sunday, December 5, 2010

২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি

২০১০ সাল প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এ বছরটিও প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বছরে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এটি বছরের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি শিরনামে ০৩-১২-২০১০ তারিখে প্রথম আলোতে প্রকাশ হয়েছিল। লিঙ্ক।আমি লেখাটির ব্লগ সংস্করন তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

তাৎক্ষণিক খোঁজ

google instant ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes

google instanat ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes২০১০ সালে গুগল তার সার্চইঞ্জিনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইনস্ট্যান্ট সার্চ। একজন ব্যবহারকারী কোনো একটি শব্দ লিখতে শুরু করলেই সার্চইঞ্জিন কাজ করা শুরু করে দেয় এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন শব্দ বা বাক্যের পরামর্শ দিতে থাকে। ফলে এখন কোনো কিছু খুঁজতে গিয়ে পুরো নাম বা শব্দ মনে না থাকলেও চলবে। গুগল সঠিক শব্দটি বের করতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করবে। এ ধরনের সার্চইঞ্জিন গুগলের পাশাপাশি টুইটার ও ফেসবুকও ব্যবহার করছে। আগামী প্রজন্মের সার্চইঞ্জিনের সূচনা এর মাধ্যমেই।

আইফোন ৪

iphone4 narrowweb  300x3380 ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
এ বছরে মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে অ্যাপেলের আইফোন ৪। আইফোন ৪ আইফোনের চর্তুথ সংস্করণ। আইফোন ৪-এর রেটিনা ডিসপ্লে-ব্যবস্থা এটিকে মোবাইল ফোনের বাজারে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া আইফোন ৪-এর ভিডিও কল করার ব্যবস্থা চমৎকার। এতে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ও এইচডি ভিডিও রেকর্ড করার ব্যবস্থা রয়েছে। এর হার্ডওয়্যারগুলোও অন্য স্মার্টফোনগুলোর চেয়ে শক্তিশালী, যা এটিকে ২০১০ সালের সবচেয়ে আলোচিত স্মার্টফোনের মর্যাদা দিয়েছে।

ক্লাউড কম্পিউটিং

ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহারকারী ও প্রোগ্রামারদের জন্য অসীম পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর আমাজন ও গুগলের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ডেটাসেন্টাcloud computing ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunesরগুলো এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ব্যবহার এ বছরই অনেকখানি বেড়ে গেছে। অনেকেই এখন আর নিজের পারসোনাল কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণ না করে ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার করে। ফলে তথ্য নষ্ট হওয়ার সমস্যার সমাধান যেমন হয়েছে, তেমনি মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য যেকোনো জায়গা থেকে প্রবেশ করতে এবং তা ব্যবহার করতে পারে। গান শোনা থেকে শুরু করে হিসাব-নিকাশ, অফিস গুচ্ছ সফটওয়্যার সবকিছুই এখন ক্লাউড সার্ভারে ব্যবহার করা যায়।
cloud computing 1 ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes

ক্লাউড কম্পটিং এর প্রক্রিয়া

৩২ ন্যানোমিটার প্রসেসর

core i7 75x75 ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
ইন্টেল এ বছরই প্রথম ৩২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির প্রসেসর তৈরি শুরু করেছে। ২০১০ ইন্টেল কোর প্রসেসর সিরিজের আওতায় এসব প্রসেসর বাজারে এসেছে। হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তির এসব প্রসেসর ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসেসরের গতি বাড়াতে বা কমাতে পারে। কোর আই সিরিজের এসব প্রসেসরের গতি গতানুগতিক প্রসেসরের প্রায় দ্বিগুণ। এসব প্রসেসরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর মধ্যে ইনটিগ্রেটেড গ্রাফিকস প্রসেসরের মধ্যেই বসানো আছে। এই মানের প্রসেসর তৈরিতে ইন্টেলের ‘নিহালেম’ স্থাপত্যশৈলী ব্যবহার করা হয়েছে।

সুপার কম্পিউটার টিয়ানহে ১

super computer ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
চীনের নতুন সুপার কম্পিউটার টিয়ানহে ১ চলতি বছরের শেষে সবাইকে চমকে দিয়েছে। এটি প্রতি সেকেন্ডে দুই হাজার ৫০০ ট্রিলিয়ন কাজ করতে পারে। এর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের ক্ষমতা ছিল এর অনেক কম (মাত্র এক হাজার ৭০০ ট্রিলিয়ন প্রতি সেকেন্ডে)। এই সুপার কম্পিউটার সুপার কম্পিউটারের বাজারকে গরম করে তুলেছে। এতে সাত হাজার গ্রাফিক্স প্রসেসর ও ১৪ হাজার ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।

আইপ্যাড

iPadClone 75x75 ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
আইপ্যাড অ্যাপেলের সর্বশেষ আর্কষণ। এ বছরের মাঝামাঝি এই ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে ছাড়া হয়। বাজারে ছাড়ার পরপরই এটি ট্যাবলেট কম্পিউটারের আগের রেকর্ডগুলো ভেঙে দেয়। আকর্ষণীয় ডিসপ্লে-ব্যবস্থা ও ব্যাটারির স্থায়িত্বকাল বেশি হওয়ায় এটি ভ্রমণকারীদের বেশি আকৃষ্ট করে। ই-বুক রিডারের আকারের এই ছোট কম্পিউটারটি এ বছরের সাড়া জাগানো প্রযুক্তিগুলোর একটি।

সামাজিক টিভি (সোশ্যাল টিভি)

social media meets online television social tv is next id45759431 size4851 ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
ফেসবুকের কল্যাণে গত কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। এখন মানুষ টিভিতে বিভিন্ন সরাসরি আয়োজন যেমন বিশ্বকাপ ফুটবল বা অস্কার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি দেখার পাশাপাশি তাদের প্রিয় খেলোয়াড় বা তারকাদের ব্যাপারে অনলাইনে আপডেট দিতে থাকে এবং বন্ধুদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনায় অংশ নেয়। এ বছর গবেষকেরা সামাজিক টিভি তৈরি করেছেন।এটি একই সঙ্গে টিভি দেখার কাজ করবে এবং সামাজিক যোগাযোগও রক্ষা করবে।

মোবাইল থ্রিডি

N8001 ২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
ত্রিমাত্রিক ভিডিও এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রেই শুধু দেখা যায়। তবে এমন যদি হয় মোবাইল ফোনের দ্বিমাত্রিক চিত্রটি হঠাৎ করে ত্রিমাত্রিক হয়ে গেল! অবাস্তব মনে হলেও এটিই এখন বাস্তব।স্যামসাং তাদের একটি স্মার্টফোনে এ বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। ডায়নামিক ডিজিটাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের জন্য এ মোবাইল সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। এ বছর মোবাইল প্রযুক্তিতে এটিই সবচেয়ে আলোচিত সংযোজন।

পিসির মাদারবোর্ডকে জানুন!

পিসির মাদারবোর্ডকে জানুন!

motherboard1 75x75     পিসি মাদারবোর্ডের আদ্যোপান্ত জানুন @ sssiam | Techtunes
মায়ের কোলে যেমন করে আদর যত্নে বেড়ে ওঠে সন্তান, শেখে জীবনযাপনের সহজ পাঠ, অনেকটা একই উপায়ে কম্পিউটারের নানা প্রয়োজনীয় অংশকে নিজের মধ্যে ধারণ করে মাদারবোর্ড৷ অবশ্য নামেই প্রকাশিত হয় কম্পিউটারের এই অন্যতম প্রধান অংশের পরিচয় অর্থাত্ কর্মব্যাপ্তি৷ মাদারবোর্ডের মাধ্যমেই অন্যান্য যন্ত্রাংশগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত হয় এবং তথ্য আদান প্রদান করে৷ এরপরেই যে অংশটির নাম আসে তা হলো প্রসেসর৷ এক কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা চলে, যা সকল কার্যসম্পাদন করে৷
সাথে সহযোগী হিসেবে প্রাথমিক তথ্য ধারণ করে র্যানডম অ্যাকসেস মেমোরি বা র্যাম৷ কম্পিউটারের জটিল কার্যপ্রক্রিয়ার কিছুটা সহজ বিবরণ দিতে মূলত মাদারবোর্ড, প্রসেসসর ও র্যামের কার্যপ্রণালীর আদ্যোপান্ত নিয়েই এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন৷
যেভাবে কাজ করে মাদারবোর্ড
আপনি যদি কম্পিউটারের কেসিং খুলে ফেলেন, তাহলে দেখতে পাবেন সার্কিটবোর্ডের ন্যায় একটি অংশ যাতে সিপিইউ’র অন্যান্য উপাদান সংযুক্ত আছে এটিই মাদারবোর্ড নামে পরিচিত৷ একটি মাদারবোর্ড আপনার কম্পিউটারের সকল পার্টস-এর পাওয়ার গ্রহণ এবং একটি সাথে আরেকটির যোগাযোগ স্থাপন করে৷ গত ২০ বছর যাবত মাদারবোর্ড আবিষ্কারের পর পিসি’র মূল অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে৷ প্রথম তৈরিকৃত মাদারবোর্ডে কিছু সংখ্যক পার্টস ছিল৷ প্রসেসর এবং কার্ড টের সমন্বয়ে প্রথম আইবিএম পিসি’র মাদারবোর্ড তৈরি করা হয়৷ ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছেমতো ফ্লপি ড্রাইভ কন্ট্রোলার এবং টে মেমোরি লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারতেন৷ বর্তমানে মাদারবোর্ডের অবস্থান এমন এক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে মাদারবোর্ডের সাথে নানারকম বিল্ট ইন ফিচার সংযুক্ত থাকছে৷
কম্পিউটারের নানামুখী ব্যবহারে মাদারবোর্ড কিভাবে কাজ করে৷ চলুন তা জেনে নেয়া যাক-
[ফর্ম ফ্যাক্টর]
একটি মাদারবোর্ড কার্যতই অচল যদি না এটিকে কম্পিউটারের সাহায্যে অপারেট করা হয়৷ মাদারবোর্ডের প্রধান কাজ হলো কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসর চিপকে ধরণ করা এবং অন্যান্য অংশের সাথে সংযোগ ঘটানো৷ কম্পিউটারের যাবতীয় প্রোগ্রাম রান অথবা এর পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পাওয়া মাদারবোর্ডের একটি অংশ, যা প্লাগের মাধ্যমে এর ভায়া হিসেবে স্লট অথবা পোর্টের সাহায্যে করে থাকে৷
একটি মাদারবোর্ডের আকার আকৃতি এবং লেআউটকেই বলা হয় ফর্ম ফ্যাক্টর৷ ফর্ম ফ্যাক্টর কম্পিউটার কেসের আকার আকৃতি এবং নিজস্ব উপাদানকেও প্রভাবিত করে৷ কিছু নির্দিষ্ট ফর্ম ফ্যাক্টর আছে যার সবকিছুই স্ট্যান্ডার্ড কেসে ফিট করতে পারে৷ ফর্ম ফ্যাক্টরের মধ্যে অনেক স্ট্যান্ডার্ড জিনিস আছে যা মাদারবোর্ডে অ্যাপ্লাই করা হয়৷ কিছু স্ট্যান্ডার্ড অন্য মাদারবোর্ডেও পাওয়া যায় যেমন-
* কী ধরনের প্রসেসর মাদারবোর্ডে ব্যবহার করতে হবে তা প্রসেসরের জন্য তৈরিকৃত সকেট দেখেই বোঝা যাবে৷
* নর্থ ব্রিজ ও সাউথ ব্রিজ নামে দুটি পার্ট তৈরি করা হয় যা মাদারবোর্ডের চিপসেট লজিক সিস্টেমের একটি অংশ হিসেবে কাজ করে৷
* বায়োস কম্পিউটারের বেশিরভাগ বেসিক ফাংশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রত্যেকবার কম্পিউটার স্টার্ট নেওয়ার সময় এটি সেলফ টেস্ট করে৷ কিছু সিস্টেমের ডুয়াল বায়োস থাকে যা ব্যাকআপ ধরে রাখে যদি এর সিস্টেম ফেল অথবা আপডেটিং-এর সময় এরর দেখায়৷
* রিয়েল টাইম ক্লক চিপ ব্যাটারী দ্বারা পরিচালিত বলে বেসিক সেটিংস এবং সিস্টেম টাইম রক্ষণাক্ষেণ করে৷
স্লট এবং পোর্ট দ্বারা তৈরিকৃত মাদারবোর্ডে থাকে
* পেরিফেরাল কম্পোনেন্ট ইন্টারকানেক্ট (পিসিআই)- ভিডিও, সাউন্ড এবং ভিডিও ক্যাপচার কার্ড এমনকি নেটওয়ার্ক কার্ডের জন্যও সংযোগ দেখা থাকে৷
* এক্সেলেরেটেড গ্রাফিক্স পোর্ট (এজিপি)- শুধুমাত্র ভিডিও কার্ডের জন্য এই পোর্টটি ব্যবহার করা হয়৷
* ইন্টিগ্রেটেড ড্রাইভ ইলেক্ট্রনিক্স (আইডিই)- শুধুমাত্র হার্ডড্রাইভ ও সিডি/ডিভিডি রমের জন্য এই ইন্টারফেসটি ব্যবহার করা হয়৷
* ইউনিভার্সেল সিরিয়াল বাস (ইউএসবি) অথবা ফায়ার ওয়্যার- অতিরিক্ত মেমোরি যা বহনযোগ্য একরম অনেক ধরনের পেরিফেরাল এর জন্য এই ইন্টারফেসটি ব্যবহার করা হয়৷ বর্তমানে কম্পিউটারের অনেক যন্ত্রাংশ-অনুষঙ্গই ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়৷
* মেমোরি স্লট- এই স্লটে মেমোরি লাগানো হয়৷
মাদারবোর্ডে নতুন প্রযুক্তি :
* রিডান্ড্যান্ট অ্যারে অব ইনডিপেনডেন্ট ডিস্কস (আরএআইডি) অনেকগুলো কন্ট্রোলার ড্রাইভকে একটি ড্রাইভ হিসেবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে৷
* পিসিআই এক্সপ্রেস একটি নতুন প্রোটোকল যা বাসের চাইতে নেটওয়ার্ক হিসেভে বাল কাজ করে৷ এটি অন্যান্য প্রয়োজনীয় পোর্টকে বাতিল করতে পারে এমনকি এজিপি পোর্টকেও৷
* মাদারবোর্ডে অন-বোর্ড সাউন্ড, নেটওয়ার্কিং, ভিডিও এবং অন্যান্য পেরিফেরাল সাপোর্ট থাকে৷
সকেট এবং প্রসেসর
Intel 718028 75x75     পিসি মাদারবোর্ডের আদ্যোপান্ত জানুন @ sssiam | Techtunes
অনেকেই মনে করেন কম্পিউটারের স্পিড এবং পারফরম্যান্স প্রসেসরের উপর নির্ভর করে৷ কেবল দ্রুত গতিসম্পন্ন প্রসেসরই দ্রুতগতির কম্পিউটার হতে পারে৷ প্রথম এরকম সিস্টেমকে পিন গার্ড অ্যারে (পিজিএ) বলা হতো৷ এ ধরনের পিনগুলো একটি সকেট লে আউটের সঙ্গে ফিট করা হতো যা সকেট-৭ নামে পরিচিত৷ এর অর্থ হলো যেকোনো প্রসেসর যেকোনো মাদারবোর্ডে ফিট হয়ে যেত৷ তবে বর্তমানে প্রসেসর প্রস্তুতকারীরা যেমন- ইন্টেল ও এএমডি বিভিন্ন ধরনের পিজিএ ব্যবহার করে থাকে যা সকেট-৭ এ ফিট করে না৷ এখন মাইক্রো প্রসেসরের অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে যার দরুণ অনেকগুলো পিনের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে৷ একারণে চিপের পাওয়ার বেড়ে গেছে৷ বর্তমানে পিজিএ-এর পিনের নামের সাহায্যে সিপিইউ অ্যারেঞ্জ করা হয়৷ সাধারণত ব্যবহৃত সকেটের নামগুলো হলো-
* সকেট ৪৭৮ – যা পুরনো পেন্টিয়াম ও সেলেরন প্রসেসরের জন্য ব্যবহৃত হতো৷
* সকেট ৭৫৪-এএমডি সেলেরন এবং কিছু এএমডি এ্যাথলন প্রসেসরের জন্য৷
* সকেট ৯৩৯-নতুন এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন এএমডি এ্যাথলন প্রসেসরের জন্য৷
* সকেট এএম২-সর্বশেষ নতুন এএমডি এ্যাথলন প্রসেসরের জন্য৷
সর্বশেষ নতুন ইন্টেল প্রসেসরে কোন পিজিএ নেই৷ এখানে এলজিএ আছে এবং এটি সকেট ‘টি’-এ ব্যবহার করা হয়৷ এলজিএ হলো ল্যান্ড গ্রিড অ্যারে৷ একটি এলজিএ পিজিএ থেকে আলাদা শুধুমাত্র সকেটের পিনের কারণে প্রসেসরের এর জন্য নয়৷
যদি কেউ নির্দিষ্ট কোন প্রসেসর-এর জন্য মাদারবোর্ড সিলেক্ট করেন তাহলে প্রসেসর বেসড মাদারবোর্ড নেয়ার চেষ্টা করবেন৷ উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি ইন্টেল অথবা এএমডি’র তৈরিকৃত নতুন কোন মাল্টি কোর চিপস ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঐ চিপের জন্য নির্দিষ্ট এবং সঠিক সকেটের মাদারবোর্ড নির্বাচন করতে হবে৷ সাধারণত প্রসেসর সকেটে ফিট হবে না যদি না তাদের পিজিএ ম্যাচ করে৷
চিপসেট
intel chipset 75x75     পিসি মাদারবোর্ডের আদ্যোপান্ত জানুন @ sssiam | Techtunes
চিপসেটের মাধ্যমে সিপিইউ এবং মাদারবোর্ড অন্যান্য অংশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন রাখে৷ চিপসেট এক ধরনের ‘গ্লু’ যা মাইক্রোপ্রসেসরে যুক্ত থাকে৷ মাদারবোর্ড-এর দুটি অংশ আছে যার একটির নাম নর্থ ব্রিজ এবং অপরটির নাম সাউথ ব্রিজ৷ নর্থ ব্রিজটি ফ্রন্ট সাইড বাস (এফএসবি)’কে ভায়া হিসেবে ধরে প্রসেসরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত৷ নর্থব্রিজের সাহায্যে মেমোরি কন্ট্রোলারকে লোকেটেড করা হয় যা প্রসেসর’কে মেমোরিতে যাওয়ার জন্য দ্রুত অ্যাকসেস দেয়৷ এটি আরো যুক্ত থাকে এজিপি বা পিসিআই এক্সপ্রেসের সাথে৷
সাউথব্রিজটি নর্থব্রিজের তুলনায় একটু ধীরগতি সম্পন্ন৷ প্রসেসর থেকে সমস্ত ইনফরমেশন প্রথমে সাউথব্রিজে পৌঁছে তারপর নর্থব্রিজের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়৷ অন্যান্য বাসগুলো সাউথ ব্রিজে যুক্ত থাকে যেমন পিসিআই বাস, ইউএসবি পোর্ট এবং আইডিই বা সাটা হার্ডডিস্ক৷
চিপসেট মাদারবোর্ডের একটি ইন্টিগ্রেটেড অংশ আর এ কারণেই এটিকে রিমুভ বা আপগ্রেড করা যায় না৷ এর অর্থ শুধুমাত্র প্রসেসর-এর জন্য মাদারবোর্ডের সকেট ফিট থাকলেই চলবে না একইসাথে মাদারবোর্ডের চিপসেট প্রসেসরের সাথে সমানভাবে কাজ করতে হবে৷
বাস স্পিড
বাস হলো সাধারণ একটি সার্কিট যা মাদারবোর্ডের মধ্যে একটি অংশের সাথে অন্যটির সংযোগ ঘটায়৷ বাস একই সাথে অনেক ডাটা হ্যান্ডল করতে পারে৷ বাসের স্পিড মেগাহার্জের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়৷ এর অর্থ কতগুলো ডাটা একই সাথে বাসের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে পারে৷
স্বাভাবিকভাবে বাস স্পিড বলতে ফ্রন্ট সাইড বাস (এফএসবি)’র স্পিডকেই বোঝায় যা নর্থব্রিজের সাথে সিপিইউ সংযুক্ত৷ এফএসবি-এর স্পিড রেঞ্জ ৬৬ মেগাহার্জ থেকে ৮০০ মেগাহার্জ পর্যন্ত হতে পারে৷ এফএসবি’র স্পিড কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকেও প্রভাবিত করতে পারে৷
এখানে মাদারবোর্ডের আরো কিছু বাস’এর ধারণা দেওয়া হলো-
* ব্যাক সাইড বাস (বিএসবি) : লেভেল-২ কেস এর সাথে সিপিইউ-এর সহিত যুক্ত থাকে যা সেকেন্ডারি বা এক্সটার্নাল কেস নামে পরিচিত৷ প্রসেসর ব্যাক সাইড বাসের স্পিডের সাহায্যে স্পিড নির্ধারণ করে৷
* মেমোরি বাস : মেমোরির সাথে নর্থব্রিজের সংযোগ থাকে৷
* আইডিই বা এটিএ বাস ডিস্ক ড্রাইভের সাথে সাউথ ব্রিজের সংযোগ ঘটায়৷
* এজিপি বাস সিপিইউ এবং মেমোরির সাথে ভিডিও কার্ড সংযুক্ত করে৷ এজিপি বাসের স্পিড ৬৬ মেগাহার্জ৷
* পিসিআই বাস সাউথ ব্রিজের সাথে পিসিআই টের সঙ্গে যুক্ত থাকে৷ সিস্টেমে পিসিআই বাসের স্পিড সর্বোচ্চ ৩৩ মেগাহার্জ৷
দ্রুতগতির কম্পিউটারের বাস স্পিড দ্রততার সাথেই কোন তথ্যকে অপারেট করবে৷ কিন্তু একটি দ্রুত বাস স্পিড কাজ করতে পারে না একটি ধীরগতির প্রসেসর অথবা চিপসেটের কারণে৷
র‌্যাম
twinmos ddr3 1333 so dim memory 75x75     পিসি মাদারবোর্ডের আদ্যোপান্ত জানুন @ sssiam | Techtunes
আমরা প্রসেসরের স্পিড বলতে বুঝি কম্পিউটার কত তাড়াতাড়ি কাজ সমাধান করতে পারে৷ চিপসেট এবং বাসের স্পিড কন্ট্রোল কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টসের সাথে যোগাযোগ রাখে৷ র্যামের স্পিড সরাসরি কন্ট্রোল করা হয় কারণ এটি সব ধরনের তথ্য ও ইন্সট্রাকশন কম্পিউটারকে অ্যাকসেস প্রদান করে এবং এর প্রভাব সিস্টেমের পারফরম্যাসেন্সর উপরও প্রভাব ফেলে৷
এখন সর্বত্র ডুয়াল ডাটা রেট (ডিডিআর) মেমোরি ব্যবহার হচ্ছে৷ এর অর্থ হলো মেমোরি একসাথে দ্বিগুণ আকারে প্রতি সাইকেলে ট্রান্সমিট করতে পারে যা মেমোরিকে দ্রুত হতে সাহায্য করে৷ অনেক মাদারবোর্ডেই মেমোরি রাখার স্থান রাখা হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং এগুলো নর্থব্রিজের সাথে সংযুক্ত থাকে যা ডুয়াল বাসের পরিবর্তে সিঙ্গেল বাসের সাথে ভায়া হিসেবে কাজ করে৷
একটি মাদারবোর্ডের মেমোরি ট দেখলেই বোঝা যায় এখানে কেমন এবং কি ধরনের মেমোরি সাপোর্ট করবে৷ যেমন কম্পিউটারের অন্যান্য উপাদান অথবা ট বা প্লাগ-এর মেমোরি পিনের ভায়া হিসেবে কাজ করে৷ মেমোরি মডিউল মাদারবোর্ডে রক্ষিত টের পিনের সঠিক নাম্বারে ফিট করতে হবে তা না হলে মেমোরি ফিট হবে না৷ প্রথমে শুধুমাত্র মাদারবোর্ডে প্রসেসর রাখা হতো এবং অন্যান্য কার্ডগুলো প্লাগ আকারে লাগাতে হতো মাদারবোর্ডে৷ এখন মাদারবোর্ডে অনেক ধরনের অনবোর্ড এক্সসেরিজ রাখা হয়েছে যেমন- ল্যান সাপোর্ট, ভিডিও, সাউন্ড সাপোর্ট এবং আরএআইডি কন্ট্রোলার সুবিধা৷
অনেক ব্যবহারকারী ভিডিও এবং সাউন্ড সাপোর্ট হিসেবে বিল্টইন ফিচার চায় যা তাদেরকে আকর্ষণ করে৷ অনেক গেমারের জন্য অনেক হাই-ইনটেনসিটি গ্রাফিক্স অথবা কম্পিউটার অ্যাইডেড ডিজাইন (কাড) প্রয়োজন৷ কিন্তু আলাদা ভিডিও কার্ড তাদের জন্য অনেক ভাল পারফরম্যান্স দিতে পারে৷
মাইক্রোপ্রসেসর
Intel 718028 75x75     পিসি মাদারবোর্ডের আদ্যোপান্ত জানুন @ sssiam | Techtunes
মাইক্রোপ্রসেসরকে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা যেতে পারে অনায়াসেই৷ একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা থেকে শুরু করে অন্যান্য সব কর্মকান্ডই নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের মাধ্যমে৷ ঠিক একইভাবে কম্পিউটার নামক বস্তুটির সব কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে প্রসেসর৷ একটা সময় প্রসেসর আকার-আকৃতি ছিলো অনেক বড়৷ ক্রমেই তা ছোট হয়ে আজ তা দাঁড়িয়েছে মাইক্রোপ্রসেসরের স্থানে৷
মাইক্রোপ্রসেসরকে কম্পিউটারের সিপিউ-ও বলা হয়ে থাকে৷ একটি মাইক্রোচিপের মাধ্যমেই মূলত প্রসেসর গঠিত হয়৷ প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করা হয় ১৯৭১ সালে, যা হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টেল তৈরি করেছিলো৷ এর নাম ছিলো ইন্টেল ৪০০৪৷ ৪বিটের এই মাইক্রোপ্রসেসরটি যোগ এবং গুন করতে পারতো৷ এই প্রসেসরটির আগে কম্পিউটার তৈরি করা হতো আলাদা ট্রানসিস্টরের মাধ্যমে৷ ইন্টেল ৪০০৪ প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হয় প্রথম পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ক্যালকুলেটরে৷ কালের বিবর্তনে তা রূপ নেয় কম্পিউটারে৷ ইন্টেলের মাইক্রোপ্রসেসর প্রথমবারের মতো একটি হোম কম্পিউটার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ১৯৭৪ সালে৷ ৮বিটের এই প্রসেসরের নাম ছিলো ইন্টেল ৮০৮০৷ তবে আইটি দুনিয়ায় ইন্টেল ৮০৮৮ প্রসেসরটি ব্যপক সাড়া ফেলে৷ এরপর থেকেই মূলত প্রসেসরের বিবর্তন শুরু হয়৷ ইন্টেল ৮০৮৮ থেকে শুরু করে ৮০২৮৬, ৮০৩৮৬, ৮০৪৮৬, পেন্টিয়াম, পেন্টিয়াম ২, পেন্টিয়াম ৩, পেন্টিয়াম ৪, ডুয়াল কোর, কোর টু ডুয়ো, কোয়াড কোর, কোর আই থ্রি, কোর আই ফাইভ এবং বর্তমানে সর্বশেষ সংযোজন কোর আই সেভেন, এই হলো ইন্টেল প্রসেসরের বিবর্তনধারা৷ এর প্রায় সবগুলোই ইন্টেল ৮০৮৮ এর উপর ভিত্তি করে তৈরি৷ তবে পরবর্তী সংস্করণগুলো একই কোড কয়েক হাজার গুণ দ্রুত এক্সিকিউট করতে পারে৷
চিপ
মাইক্রোপ্রসেসরের মূল হলো চিপ৷ এক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটও বলা হয়ে থাকে৷ ছোট, পাতলা, সূ সিলিকন পাতের ওপর অসংখ্য ট্রানসিস্টরের সমন্বয়ে চিপ তৈরি হয়৷ এক ইঞ্চি বাই এক ইঞ্চি বর্গ েত্রের একটি চিপে এক কোটিরও বেশি ট্রাইসস্টর ব্যবহৃত হয়৷ একটি প্রসেসর কত দ্রুত কাজ করবে তা এই ট্রানসিস্টরের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে৷
যুক্তি ও কর্ম
মাইক্রোপ্রসেসর মূলত লজিক বা যুক্তি বা নিরেট গাণিতিক উপায়ে কাজ করে৷ এক অ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ বলা হয়ে থাকে৷ প্রসেসরকে কোনো কমান্ড দিলে তা মূলত তিনটি কাজ করে৷
* অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট বা এএলইউ ব্যবহারের মাধ্যমে মাইক্রোপ্রসেসর যোগ, গুন, বিয়োগ, ভাগ ইত্যাদি গাণিতিক হিসাব সম্পাদন করে৷ আধুনিক প্রসেসরগুলো আরো অনেক বড় বড় গাণিতিক সমস্যান সমাধান করতে পারে৷
* মাইক্রোপ্রসেসর কম্পিউটারের কোনো মেমোরি থেকে অন্য মেমোরিতে তথ্য আদান-প্রদান করে৷
* কোনো একটি কমান্ড পূর্ন সমাধানের পর নতুন কমান্ড সমাধান করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে৷
মাইক্রোপ্রসেসরের যাবতীয় জটিল কাজ মূলত এই তিনটি কাজেরই কোনো না কোনো অংশে পড়ে৷ একটি সাধারণ মাইক্রোপ্রসেসরের কর্মপদ্ধতি অনেকটা এইরকম-
* অ্যাড্রেস বাস (৮, ১৬, ৩২ অথবা ৬৪বিট) মেমোরিতে তথ্য প্রেরণ করে৷
* ডাটা বাস মেমোরিতে তথ্য প্রেরণ করে এবং মেমোরি থেকে গ্রহণ করে৷
* রিড এবং রাইট লাইন যথাক্রমে তথ্য ধারণ এবং প্রেরণস্থান নির্দেশ করে৷
* ক্লক লাইন এর গতি পর্যবে ণ করে৷
* রিসেট লাইন একটি টাস্ক শেষ করে নতুন টাস্ক শুরু করে৷
একটি ৮ বিটের অ্যাড্রেস ও ডাটা বাসের কাযপ্রণালী নিম্নরূপ-
* রেজিস্টার এ, বি এবং সি তথ্যের গতিপথ নির্ধারণ করে৷
* অ্যড্রেস ল্যাচ রেজিস্টার এ, বি ও সি-এর মতোই কাজ করে৷
* প্রোগ্রাম কাউন্টার কোনো টাস্ক শুরু শেষ নির্ধারণ করে৷
* অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট গাণিতিক হিসাব সম্পাদন করে৷
* এএলইউ একসাথে মাত্র দুটি সংখ্যা তুলনা করতে পারে যে দুটি সমান অথবা আলাদা৷ কিন্তু এএলইউ-এর তুলনাগুলোকে সংরক্ষণ করে টেস্ট রেজিস্টার৷ এর ধারণকৃত তথ্যের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সমাধান প্রদান করা হয়৷
* থ্রি স্টেটগুলো মূলত পুরো হিসাবকে বাইনারি রূপে ডেকোড-এনকোড করে৷ এই অংশটিই ইনপুট নেয় বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে এবং হিসাবের পর তা আউটপুটও দেয় বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে৷ বাইনারি সংখ্যায় কেবল দুটি অংক থাকে, ১ এবং ০৷ কম্পিউটারের অন্যান্য অংশ বাইনারি সংখ্যাতেই তথ্য আদ্ন প্রদান করে৷ আর এই যোগাযোগ করে ‘থ্রি স্টেট’৷ ইন্সট্রাকশন রেজিস্টার ও ইন্সট্রাকশন ডেকোডার অন্যান্য অংশেন নিয়ন্ত্রণ রাখে৷
ইন্সট্রাক ডেকোডার যেভাবে কন্ট্রোল লাইন হিসেবে কাজ করে-
* ডাটা বাস থেকে ভ্যালু গ্রহণ করতে রেজিস্টার এ এবং বি’কে নির্দেশ দেয়৷
* এএলইউ থেকে টাস্ক সম্পাদন শেষে আউটপুট নিতে রেজিস্টার সি কে নির্দেশ দেয়৷
* ডাটা বাস থেকে ভ্যালু নিতে অ্যাড্রেস রেজিস্টার ও ইন্সট্রাকশন রেজিস্টারকে নির্দেশ দেয়৷
* ইনক্রিমেন্টের জন্য প্রোগ্রাম কাউন্টারকে নির্দেশ দেয়৷
* রিসেটের জন্য প্রোগ্রাম কাউন্টারকে নির্দেশ দেয়৷
* ছয়টি ‘থ্রি স্টেট’ এর যেকোনো একটিকে সক্রিয় করে৷
* এএলইউ’কে কি টাস্ক করতে হবে তা জানায়৷
* রিড ও রাইট লাইনকে সক্রিয় করে৷
মাইক্রোপ্রসেসরের মেমোরি
মাইক্রোপ্রসেসরের অ্যড্রেস বাস, ডাটা বাস, রিড লাইন ও রাইট লাইন সাধারণত র্যাম ও রম এর সাথে যুক্ত হয়৷ ৮বিট অ্যাড্রেস বাস ও ৮বিট ডাটা বাস এর একটি প্রসেসর একক সময়ে ৬৪ বাইট মেমোরি অ্যাড্রেস ও ৮ বিট মেমোরি লিখতে পারে৷ রাম হলো রিড অনলি মেমোরি৷ এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিসেট মেমোরি৷ অ্যড্রেস বাস রমকে নির্দেশ দেয় কোন কোন বিটগুলো ডাটা বাস এ স্থানান্তর করতে হবে৷ রিড লাইন যখন স্টেট পরিবর্তন করে তখন রম চিপ সেই বিটগুলোকে ডাটা বাস এ প্রেরণ করে৷ অন্যদিকে র্যাম হলো র্যানডম অ্যাকসেস মেমোরি৷ এটা বাইটের মাধ্যমে তথ্য ধারণ করে৷ রিড লাইন ও রাইট লাইনের সংকেতে ওপর প্রসেসর এখান থেকে ডাটা আদান ও প্রদান করে৷ র্যাম ছাড়া একটি সিম্পল কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব৷ কিন্তু রম ছাড়া কোনো ধরণের কম্পিউটারই তৈরি সম্ভব নয়৷ এটি মেশিন বন্ধ থাকা অবস্থাতেও তথ্য ধারণ করে নিজস্ব পাওয়ার অর্থাত্ ব্যাটারির মাধ্যমে৷ পিসিতে রমকে বলা হয় বায়োস বা বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম৷ মাইক্রোপ্রসেসর পাওয়ার পাওয়া মাত্রই বায়োস রম এর তথ্যসমূহ নিয়ে কাজ করতে থাকে৷ যেমন মেশিনটিতে কী ধরণের হার্ডওয়্যার ইনস্টল করা আছে ইত্যাদি৷ বায়োসই হার্ড ডিস্কের বুট সেক্টরে প্রবেশ করে, সেখান থেকে তথ্য নিয়ে র্যামে স্থানান্তর করে৷ র্যাম থেকে তথ্য নিয়ে মাইক্রোপ্রসেসর সিস্টেম বুট করে৷ এরপর র্যাম থেকেই তথ্য নিয়ে নিয়ে প্রসেসর কাজ করে৷
মাইক্রোপ্রসেসরের গতি ও ধারা
একটি মাইক্রোপ্রসেসরের গতি ও পারফর্মেন্স নির্ভর করে এতে অবস্থিত ট্রানসিস্টারের ওপর৷ ৮০৮৮ প্রসেসরটি একটি ইনস্ট্রকশন এক্সিকিউট করতে ১৫ ক্লক সাইকেল সময় নিতো৷ আবার এই প্রসেসরটি একটি ১৬বিট গুন করতে ৮০ক্লক সাইকেল সময় নিতো৷ পরবর্তীতে মাল্টিপ্লাইয়ার ডিজাইনের মাধ্যমে অধিক ট্রানসিস্টর ব্যবহার করে এর গতি বৃদ্ধি করা হয়৷ পাইপলাইনিং এর ফলে ইন্সট্রাকশন ওভারল্যাপ করা সম্ভব হয়৷ এতে পাঁচটি ইন্সট্রাকশন একইসাথে করা সম্ভব হয়, যখন প্রতিটি ইন্সট্রাকশনে লাগতো ৫ ক্লক সাইকেল৷ আরো পরে মল্টিপল ইন্সট্রাকশন ডেকোডারের প্রবর্তন ঘটে, যার মাধ্যমে প্রতি ক্লক সাইকেলে একের অধিক ইন্সট্রাকশন এক্সিকিউট কর সম্ভব হয়৷
র্যাম এর ইতিবৃত্ত
তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান বিশ্বে মানুষের জীবনে কম্পিউটার প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র হিসেবে বিবেচিত৷ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কর্মকান্ড থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের বিকল্প নেই৷ কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান অংশ হচ্ছে মেইন মেমোরি৷ মেইন মেমোরি হিসেবে র্যামের গুরুত্ব অপরিসীম৷
র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি বা র্যাম হচ্ছে সবচেয়ে পরিচিত কম্পিউটার মেমোরি৷ র্যাম’কে ‘র্যান্ডম এক্সসে’ বলা হয়, কারণ ইহা কোন মেমোরি সেলকে কোন রো এবং কলাম ছেদ করেছে জানতে পারলে, সরাসরি উক্ত সেলকে ব্যবহার করতে পারে৷
সিরিয়াল এক্সসে মেমোরি বা স্যাম যা র্যামের বিপরীত৷ ইহা ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি সেলে ডাটা স্টোর করে এবং ধারাবাহিকভাবে উক্ত ডাটাগুলোকে এক্সসে করে৷ যদি কোন ডাটা উল্লেখিত জায়গাতে না পাওয়া যায়, তাহলে প্রত্যেকটি মেমোরি সেলকে ধারাবাহিকভাবে খোঁজা হয়৷ মেমোরি বাফার, (যেখানে ডাটাকে ব্যবহারের ক্রমানুসারে রাখা হয় যেমন- ভিডিও কার্ডের টেক্সার বাফার) হিসাবে স্যাম খুবই কার্যকর৷ বিপরীতক্রমে র্যাম যেকোনো সেল থেকে ডাটা এক্সসে করতে পারে৷
মাইক্রোপ্রসেসরের মত মেমোরি চিপ ও কোটি কোটি ট্রানজিস্টর ও ক্যাপাসিটর নিয়ে গঠিত একটি ইন্টগ্রেটেড সার্কিট৷ বহুল ব্যবহৃত কম্পিউটার মেমোরি হচ্ছে ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি, যার প্রতিটি মেমোরি সেল একটি ট্রানজিস্টর ও একটি ক্যাপাসিটর এর জোড়া দ্বারা গঠিত৷ একটি মেমোরি সেল এক বিট ডাটা স্টোর করতে পারে৷ ক্যাপাসিটর একটি ‘০’ এবং ‘১’ এক বিট ডাটা স্টোর করে৷ ট্রানজিস্টর একটি সুইচ হিসেবে কাজ করে, যা মেমোরি চিপের কন্ট্রোল সার্কিটের মাধ্যমে ক্যাপাসিটরের ডাটা রিড করে বা এর অবস্থার পরিবর্তন সাধন করে৷
ক্যাপাসিটর একটি ছোট ঝুড়ির মত যা ইলেকট্রন স্টোর করতে পারে৷ মেমোরি সেলে একটি ‘১’ স্টোর করার জন্য উক্ত ঝুড়িতে ইলেকট্রন রাখতে হয়৷ তবে সমস্যা হল ক্যাপাসিটরের ঝুড়িতে একটি ছিদ্র আছে, ফলে কয়েক মিলিসেকেন্ড পরে পূর্ণ ঝুড়ি ফাঁকা হয়ে যায়৷ এ কারণে ডাইনামিক মেমোরিকে কর্মপযোগী করার জন্য সিপিইউ বা মেমোরি কন্ট্রোলারকে সবগুলো ক্যাপাসিটরকে ১ ধরে রাখার জন্য চার্জ ফুরানোর পূর্বেই রিচার্জ করতে হয়৷ এই লক্ষ্যে মেমোরি কন্ট্রোলার মেমোরি রিড করে এবং পূনরায় তা রাইট করে৷ এই রিফ্রেস কর্মকান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেকেন্ডে কয়েক হাজার বার ঘটে৷ ডাইনামিক র্যামে এই রিফ্রেস কার্যক্রম ডাইনামিকালি কিছুক্ষণ পর পর ঘটে না হলে রক্ষিত ডাটাগুলো মুছে যাবে৷ এই রিফ্রেস কার্যক্রমের একটি অসুবিধা হল ইহা মেমোরিকে খুব ধীরগতির করে দেয়৷
মেমোরি সেল ও ডির‌্যাম
মেমোরি সেলগুলো কলাম (বিটলাইন) এবং রো (ওয়ার্ডলাইন) আকারে সিলিকন ওয়েফার এর মত একে আপরের সাথে লাগানো থাকে৷ বিটলাইন ও ওয়ার্ডলাইন যে স্থানে মিলিত হয়, সেটাই ঐ মেমোরি সেল এর এড্রেস৷
ডির্যাম উপযুক্ত কলামের মধ্য দিয়ে চার্জ পাঠিয়ে কলামের প্রতিটি বিটের ট্রানজিস্টরকে সক্রিয় করে৷ রাইট করার সময় রো লাইনে ক্যাপাসিটরের বর্তমান অবস্থাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়৷ রিড করার সময় সেন্স এপ্লিফায়ার ক্যাপাসিটরের চার্জের মাত্রা পরিমাণ করে৷ যদি মাত্রাটা ৫০ শতাংশের বেশি হয় তবে ইহা ‘১’ রিড করে, না হলে ‘০’ রিড করে৷ একটি কাউন্টার কোন রো কিভাবে এক্সসে করা হল সেই রিফ্রেস সিকোয়েন্স মনে রাখে৷ এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে কয়েক ন্যানো সেকেন্ড সময় লাগে৷ ৭০ ন্যানো সেকেন্ড রেটিং এর একটি মেমোরি চিপ প্রতিটি সেল অসম্পূর্ণ রিড ও রিচার্জ করতে ৭০ ন্যানো সেকেন্ড সময় নেয়৷
মেমোরি সেলগুলো ইনফরমেশন গ্রহণ করা ও প্রদান করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না৷ তাই এর কাজ হচ্ছে আরেকটি স্পেশাল সার্কিটকে সাপোর্ট দেয়া৷ উক্ত সার্কিটের কাজগুলো নিম্নরূপ :
* প্রত্যেকটি রো এবং কলাম চিহ্নিত করা (রো অ্যাড্রেস ও কলাম অ্যাড্রেস)
* রিফ্রেস সিকোয়েন্স ধারণ করা (কাউন্টার)
* প্রতিটি সেল এর সিগনাল রিড করা এবং রিস্টোর করা (সেন্স এম্প্লিফায়ার)
* কোন সেল-এর চার্জ লাগবে কিনা সেটা জানানো (রাইট)৷
মেমোরি কন্ট্রোলারের অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে : মেমোরির ধরণ, স্পিড ও পরিমাণ নির্ণয় করা এবং এরর নির্ণয় করা৷
স্ট্যাটিক র‌্যাম
স্ট্যাটিক র‌্যাম পুরোপুরি আলাদা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ এতে মেমোরি হিসেবে ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করা হয়৷ ফ্লিপ-ফ্লপ প্রতিটি মেমোরি সেলের জন্য চারটি বা ছয়টি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে তবে রিফ্রেস করার দরকার হয় না৷ এ কারণে স্ট্যাটিক র্যাম ডাইনামিক র্যাম এর তুলনায় দ্রুততর৷ স্ট্যাটিক মেমোরি সেলে অনেকগুলো অংশ থাকার কারণে এর চিপ ডাইনামিক মেমোরি সেল এর তুলনায় অধিক স্পেস লাগে৷ ফলে প্রতিটি চিপে কম মেমোরি থাকে এবং ইহা অনেক ব্যয়বহুল হয়৷
স্ট্যাটিক র্যাম দ্রুততর ও ব্যয়বহুল কিন্তু ডাইনামিক র্যাম কম ব্যয়বহুল ও ধীরগতির, তাই স্ট্যাটিক র্যাম সিপিইউ’র দ্রুতগতির ক্যাশ মেমোরি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷ আর ডাইনামিক র্যাম বড় সিস্টেমের র্যাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷
ডেক্সটপ কম্পিউটারের মেমোরি চিপগুলোতে ডুয়াল-ইনলাইন-প্যাকেজ নামক পিন কনফিগারেশন ব্যবহৃত হয়৷ এই পিন কনফিগারেশন কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের একটি সকেটে লাগানো থাকে৷ র্যাম যদি কয়েক মেগাবাইট হয় তাহলে পদ্ধতিটি খুবই উপযোগী৷ তবে মেমোরি বাড়তে থাকলে মাদারবোর্ডের চিপের সংখ্যাও বাড়াতে হবে৷ আমরা যদি মেমোরি চিপকে অন্যান্য সকল উপকরণের সাথে একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে লাগিয়ে মাদারবোর্ডের একটি স্পেশাল কানেক্টরে (মেমোরি ব্যাংক)-এ লাগাই তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না৷ অধিকাংশ চিপ স্মল-আউটলাইন-জে-লিড (এসওজে) পিন কনফিগারেশন ব্যবহার করে৷ তবে কিছু উত্পাদনকারী থিন-স্মল-আউটলাইন-প্যাকেজ সারফেস-মাউন্টেড অর্থাত্ পিনগুলো বোর্ডের গায়ে লাগানো থাকে৷
মেমোরি চিপগুলো কার্ডের অংশ বা মডিউল আকারে পাওয়া যায়৷ মেমোরি ৮*৩২ বা ৪*১৬ সংখ্যাগুলো দ্বারা তালিকা করা হয়৷ এই সংখ্যাগুলোর প্রথমটি চিপের সংখ্যা এবং দ্বিতীয়টি প্রত্যেকটি চিপের ধারণক্ষমতা বুঝায় (মেগাবিট)৷ এই সংখ্যা দুটি গুণ করে ৮ দিয়ে ভাগ করলে প্রত্যেকটি মডিউলের ধারণক্ষমতা মেগাবাইটে পাওয়া যাবে৷ উদাহরণস্বরূপ ৪*৩২ অর্থ হচ্ছে মডিউলে ৩২ মেগাবিটের ৪টি চিপ রয়েছে৷ মডিউলটির মোট ধারণক্ষমতা ৪*৩২=১২৮ মেগাবিট = ১৬ মেগাবাইট৷
র‌্যামের প্রকারভেদ
বিভিন্ন প্রকারের র্যামগুলো নিম্নরূপ:
এস র্যাম : স্ট্যাটিক র্যান্ডম একসেস মেমোরি প্রতিটি সেলে বহুসংখ্যক ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে কিন্তু কোনো ক্যাপাসিটর লাগে না৷ এটা সাধারণত ক্যাশ-এ ব্যবহৃত হয়৷
ডির্যাম : ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরির মেমোরি সেলগুলো ট্রানজিস্টর ও ক্যাপাসিটরের জোড়া দ্বারা গঠিত৷ এতে নিয়মিত রিফ্রেসিং এর প্রয়োজন হয়৷
এফপিএম ডির্যাম : ফাস্ট পেজ মোড ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি হচ্ছে আসল ডির্যাম৷ ইহা কলাম ও রো এক্সিেসং-এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রসেস লোড করে৷ তারপর উক্ত বিট রিড করে৷ এল-২ ক্যাশ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে ১৭৬ মেগাবাইট৷
ইডিও ডির্যাম : এক্সটেন্ডেড ডাটা-আউট ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি পরবর্তী বিটগুলো রিড করার জন্য প্রথম বিটের জন্য অপেক্ষা করে না৷ প্রথম বিটের এড্রেস চিহ্নিত হওয়ার পরই পরবর্তী বিটের খোঁজ করে৷ এটা এফপিএমের চেয়ে পাঁচ শতাংশ দ্রুততর৷ এল-২ ক্যাশ-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে ২৬৪ মোগাবাইট৷
এসডি র্যাম : সিনক্রোনাস ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি বার্স্ট মোড এর ধারণা করে এর কার্যক্ষমতা অনেক বাড়ায়৷ ইহা নির্ধারিত রো-এর প্রতিটি কলামের বিটকে ধারাবাহিকভাবে রিড করে৷ ইহার ধারণা হচ্ছে সিপিইউ যে ডাটা ব্যবহার করে তা ধারাবাহিকভাবে স্টোর থাকে৷ এসডি র্যাম ইডিও র্যামের তুলনায় পাঁচ ভাগ দ্রততর৷ এল-২ ক্যাশ’র সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫২৮ মেগাবাইট৷
ডিডিআর এসডির‌্যাম :
ডাবল ডাটা রেট সিক্রোনাস ডাইনামিক র্যান্ডস এক্সসে মেমোরি এসডি র্যামের মতই তবে এর ব্যান্ডউইডথ অনেক বেশি৷ অর্থাত্ ইহা অনেক দ্রতগতির৷ এল-২ ক্যাশ-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০৬৪ মেগাবাইট (ডিডিআর এসডি র্যাম-এর ক্ষেত্রে ১৩৩ মেগাহার্জ)৷
আরডি র্যাম : র্যাম্বাস ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি র্যাম্বাস-ইনলাইন-মেমোরি মডিউল (আরআইএমএম) ব্যবহার করে, যা আবার অনেক ছোট এবং ডিআইএমএম এর স্ট্যান্ডার্ড পিন কনফিগারেশন ব্যবহার করে৷ আরডি র্যাম র্যাম্বাস চ্যানেল নামক উচ্চগতির ডাটা বাস ব্যবহার করে৷ ইহার মেমোরি চিপগুলো এক যোগে কাজ করে ফলে ডাটা রেট ৮০০ মেগাহার্জ বা প্রতি সেকেন্ড ১৬০০ মেগাবাইট হয়৷ এর উচ্চগতির জন্য কাজ করার সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়৷ এই অতিরিক্ত তাপ কমানোর জন্য র্যাম্বাস চিপগুলো লম্বা, সরু ওয়েফারের মত হিট স্প্রেডারের সাথে লাগানো হয়৷
ক্রেডিট কার্ড মেমোরি : ক্রেডিট কার্ড মেমোরি হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ডির্যাম মেমোরি মডিউল, যা নোটবুক কম্পিউটরের ব্যবহারের জন্য একটি স্পেশাল টে বসানো থাকে৷
পিসিএমসিআইএ মেমোরি কার্ড : এটাও নোটবুক কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য একটি ডির্যাম মডিউল৷ তবে এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়৷ ইহার মেমোরি কার্ডের কনফিগারেশন যে নোটবুক কম্পিউটারের সিস্টেম বাসের সঙ্গে মিলবে সেই কম্পিউটারেই এটি ব্যবহার করা যাবে৷
সিএমওএস র্যাম : সিএমওএস র্যাম খুবই ক্ষুদ্র আকারের মেমোরি যা কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রে কিছু ইনফরমেশন স্টোর করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়৷ এই মেমোরি জন্য এর মেমোরি কনটেন্টগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ছোট ব্যাটারী ব্যবহার করে৷
ভি র্যাম : ভিডিও র্যাম বা মাল্টিপোর্ট ডাইনামিক র্যান্ডম এক্সসে মেমোরি এমপি ডির্যাম এক প্রকার র্যাম যা শুধুমাত্র ভিডিও এডাপ্টার বা থ্রিডি এক্সিলারেটরে ব্যবহৃত হয়৷ ভির্যামের সাধারণত দুটি এক্সসে পোর্ট থাকে, যা দ্বারা সিপিইউ ও গ্রাফিক্স প্রসেসর একই সঙ্গে র্যাম ব্যবহার করতে পারে৷ ভির্যাম সাধারণত গ্রাফিক্স কার্ডে লাগানো থাকে৷ র্যামের আকারের উপর নির্ভর করে ডিসপ্লের রেজু্যলেশন ও কালার ডেপথ কত হবে৷ ভির্যাম গ্রাফিক্স সম্পর্কিত তথ্য যেমন- থ্রিডি জিওমেট্রি ডাটা ও টেক্সার ম্যাপ রাখতে ও ব্যবহৃত হয়৷ আসল অনেক পোর্ট সম্বলিত ভির্যাম অনেক ব্যয়বহুল৷ তাই বর্তমানে অধিকাংশ গ্রাফিক্স কার্ড এসজি র্যাম (সিনক্রোনাস গ্রাফিক্স র্যাম) ব্যবহার করে৷ দুইটার কার্যক্ষমতা প্রায় সমান তবে এসজি র্যাম তুলনামূলক সস্তা৷
মেমোরি মডিউল
গত কয়েক বছরে ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্যবহৃত র্যামের বোর্ড ও কানেক্টরের ধরনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে৷ প্রথম প্রকার হচ্ছে মালিকানাধীন, অর্থাত্ বিভিন্ন কম্পিউটার নির্মাতারা বিভিন্ন রকমের মেমোরি বোর্ড তৈরি করেছেন যা বিশেষ কিছু সিস্টেম-এ সাপোর্ট করে৷ পরবর্তীতে আসে এসআইএমএম (সিঙ্গেল ইন লাইন মেমোরি মডিউল)৷ ইহা ৩০ পিনের কানেক্টর ব্যবহার করে এবং আকারে ৩.৫*.৭৫ ইঞ্চি (প্রায় ৯*২ সে.মি.) অধিকাংশ কম্পিউটারে একই ধারণক্ষমতা ও গতির এসআইএমএস জোড়ায় জোড়ায় ব্যবহার করা যায়৷ যেমন দুটি মেগাবাইটের এসআইএমএম ব্যবহার করে ১৬ মেগাবাইট র্যাম পাওয়া যায়৷ প্রতিটি এসআইএমএস আলাদাভাবে একই সময়ে ৮বিট ডাটা পাঠাতে পারবে এবং সিস্টেম বাস ১৬বিট ডাটা হ্যান্ডেল করতে পারবে৷ পরবর্তীতে এসআইএমএম বোর্ড, একটু বড় সাইজের ৪.২৫*১ ইঞ্চি (প্রায় ১১*২.৫ সেমি), ৭২-পিন কানেক্টর ব্যবহার করে৷ ফলে এর ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি পায় এবং ২৫৬ মেগাবাইট পর্যন্ত র্যাম সাপোর্ট করে৷
প্রসেসরের গতি ও ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন স্ট্যান্ডার্ড ডুয়াল ইন মেমোরি মডিউল (ডিআইএমএম) এর ব্যবহার শুরু হয়৷ ১৬৮-পিন বা ১৮৪ পিন এর এবং ৫.৪*১ ইঞ্চি (প্রায় ১৪*২.৫ সেমি) ডিআইএমএম এর প্রতিটি মডিউলে ৪ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত হয় এবং জোড়ায় জোড়ায় নয়, প্রতিটি আলাদা আলাদভাবে ইন্সটল করা যায়৷ অধিকাংশ পিসি মেমোরি মডিউল ও ম্যাক জি-৫ সিস্টেম-এ ২.৫ ভোল্ট দরকার হয় আরেকটি স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে র্যাম্বাস ইন-লাইন মেমোরি মডিউল (আরআইএমএম) এর সাইজ ও পিন কনফিগারেশন ডিআইএমএম-এর মতই তবে এটা স্পেশাল মেমোরি বাস ব্যবহার করে ফলে স্পিড বহুগুণে বৃদ্ধি পায়৷
নোটবুক কম্পিউটারের অনেক ব্র্যান্ড প্রোপাইটরি-মেমোরি-মডিউল ব্যবহার করে৷ তবে অনেক অন্যান্য ব্র্যান্ডের নির্মাতারা স্মল-আউটলাইন-ডুয়াল-ইন-লাইন-মেমোরি মডিউল (এসওডিআইএমএম) কনফিগারেশনের মেমোরি মডিউল বা র্যাম ব্যবহার করে৷ এসওডিআইএমএম কার্ডগুলো ছোট আকারের (প্রায় ২*১ ইঞ্জি ৫*২.৫ সেমি) এবং ১৪৪ বা ২০০টি পিন আছে৷ প্রতিটি মেমোরি মডিউলের ধারণক্ষমতা ১৬ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত হয়৷ অ্যাপলের আইম্যাক ডেস্কটপ কম্পিউটার স্পেস কমানোর জন্য গতানুগতিক ডিআইএমএম এর পরিবর্তে এসওডিআইএমএম ব্যবহার করে৷ সাব-নেটবুক কম্পিউটার ১৪৪ বা ১৭২ পিনের মাইক্রোডিআইএমএম নামের ছোট সাইজের ডিআইএমএম ব্যবহার করে৷
বর্তমানে ব্যবহৃত অধিকাংশ মেমোরি খুবই নির্ভরযোগ্য৷ অধিকাংশ সিস্টেমের মেমোরি কন্ট্রোলার স্টার্ট-আপ এর সময় এরর চেক করে৷ বিল্ট-ইন এরর চেকিং সুবিধা সম্বলিত মেমোরি চিপগুলো এরর চেক কারার জন্য প্যারিটি পদ্ধতি ব্যবহার করে৷ প্যারিটি চিপগুলোতে প্রতি ৮ বিট ডাটার জন্য একটি অতিরিক্ত বিট আছে৷ প্যারিটি এর কর্মপদ্ধতি খুবই সাধারণ৷ প্যারিটি পদ্ধতি দুই প্রকার৷
ইভেন/জোড় প্যারিটি : ডাটার একটি বাইটের ৮টি বিট গ্রহণ করার পর চিপ মোট কতটি ১ আছে তা গণনা করে৷ যদি মোট ১ এর সংখ্যা বিজোড় হয় তাহলে প্যারিটি বিটটি ১ হবে৷ আর যদি মোট ১ এর মোট সংখ্যা জোড় হয় তবে প্যারিটি বিটটি ০ হবে৷ যখন ডাটা বিটগুলোকে আবার রিড করা হবে তখন ১ বিটের সংখ্যা গণনা করা হবে৷ যদি মোট ১ বিজোড় হয় এবং প্যারিটি বিট ১ হয়, তাহলে ডাটা ঠিক আছে ধরে নেওয়া হয় এবং সিপিইউ এর কাছে পাঠানো হয়৷ কিন্তু যদি মোট সংখ্যা বিজোড় হয় এবং প্যারিটি বিট ০ হয়, তবে চিপ ধরে নেয় উক্ত ৮ বিটের কোন একটি বিটে এরর আছে, ফলে ডাটা গ্রহণযোগ্য হয় না৷
অড/বিজোড় প্যারিটি : ইহা ইভেন প্যারিটি এর মতই তবে প্যারিটি বিট ১ হবে যখন বাইটে ১ বিটের সংখ্যা জোড় হবে৷ অন্যথায় প্যারিটি বিট ০ হবে৷ প্যারিটি পদ্ধতি এর একটি অসুবিধা হল এটা শুধু এরর চেক করতে পারে কিন্তু এরর কারেক্ট করতে পারে না৷ এক বাইট ডাটা যদি প্যারিটি এর সঙ্গে না মিলে তাহলে ডাটাকে বাতিল করে এবং সিস্টেম আবার চেষ্টা করে৷ কম্পিউটার এর সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে উচ্চ মানের ফল্ট টলারেন্স এর দরকার হয়৷ উচ্চমানের সার্ভারগুলোতে এরর কারেকশন কোড (ইসিসি)-এর মত এরর চেকিংও দরকার হয়৷ প্যারিটি এর মত ইসিসিও প্রতি বাইট ডাটাতে অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করে৷ তবে পার্থক্য হচ্ছে এরর চেকিং-এর জন্য একাধিক বিট ব্যবহার করে কতগুলো বিট ব্যবহার করে তা নির্ভর করে ডাটার দৈর্ঘ্যের উপর৷ ইসিসি মেমোরি একটি স্পেশাল এলগরিদম ব্যবহার করে শুধু এরর চেক নয়, এরর কারেক্টও করে৷ ইসিসি মেমোরি একাধিক বিটের এররও ধরতে পারে৷ এ ধরনের এরর খুবই কম ঘটে এবং এগুলো ইসিসি দ্বারাও কারেক্ট করা যায় না৷
এখনকার বহুল বিক্রিত কম্পিউটারগুলো ননপ্যারিটি মেমোরি চিপ ব্যবহার করে এই চিপগুলো কোন বিল্ট-ইন এরর চেকিং সুবিধা দেয় না, বরং এরর নির্ণয়ের জন্য মেমোরি কন্ট্রোলারের উপর নির্ভর করে৷
র্যাম কি পরিমাণ দরকার?
অনেকের মতে বড় আকারের গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজ বা গেম খেলা ছাড়া র্যাম বেশি নেওয়ার কোন দরকার নেই৷ কিন্তু সিপিইউ এর পরে র্যামই কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ আপনার সামর্থ কম হলে স্বল্প মানের সিপিইউ নিয়ে, অধিক র্যাম নিয়ে অনেক ভাল আউটপুট পাবেন৷ যদি আপনার সিস্টেম খুব ধীরগতির হয় বা প্রতিনিয়ত হার্ডড্রাইভ এক্সসে করে, তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত র্যাম নিতে হবে৷ আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করেন, মাইক্রোসফটের মতে আপনাকে কমপক্ষে ১২৮ মেগাবাইট র্যাম ব্যবহার করতে হবে৷ তবে স্ট্যান্ডার্ড ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনগুলো ভালভাবে চালানোর জন্য ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম নেওয়া ভাল৷ আপনি যদি উইন্ডোজ ৯৫/৯৮ ব্যবহার করেন, তাহলে কমপক্ষে ৩২ মেগাবাইট র্যাম লাগবে এবং ভালভাবে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য ৬৪ মেগাবাইট র্যাম হলে ভাল হয়৷ উইন্ডোজ এনটি/২০০০ এ কমপক্ষে ৬৪ মেগাবাইট র্যাম প্রয়োজন কিন্তু ভালভাবে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য ১২৮ মেগাবাইট র্যাম হলে সুবিধা হয়৷
লিনাক্স ৪ মেগাবাইট র্যাম হলেই চলে তবে এক্স-উইন্ডোজ বা অন্যান্য কাজের জন্য ৬৪ মেগাবাইট র্যাম দরকার৷ সর্বশেষ ফেডোরা বা রেডহ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স চালানোর জন্য ২৫৬ মেগাবাইট র্যাম দরকার হয়৷ ম্যাক ওএস সিস্টেম এ কমপক্ষে ১২৮ মেগাবাইট তবে উন্নত সুবিধার জন্য ৫১২ মেগাবাইট র্যাম দরকার৷
উপরোলি্লখিত র্যামের পরিমাণগুলো প্রতিটি সিস্টেমের স্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার করা, ওয়ার্ড প্রসেসিং স্ট্যান্ডার্ড হোম/ অফিস অ্যাপ্লিকেশন এবং ছোট বিনোদন৷ আপনি যদি কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন (ক্যাড), থ্রিডি মডেলিং/এনিকেশন বা বড় ডাটা প্রসেসিং করতে চান বা আপনি যদি খুবই গ্রেমপ্রিয় হন তাহলে আপনার আরও অধিক র্যাম লাগবে৷ আপনার কম্পিউটারটি যদি সার্ভার (ওয়েব পেজ, ডাটাবেজ, অ্যাপ্লিকেশন, এফটিপি বা নেটওয়ার্ক) হয়, তবুও আপনাকে বেশি র্যাম নিতে হবে৷
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আপনার ভিডিও কার্ডে কতটুকু ভির্যাম নেবেন৷ এখানকার ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোতে ৬৪ মেগাবাইট ভির্যাম থাকে৷ এই পরিমাণই যথেষ্ট তবে আপনার সিস্টেমে আরো ভির্যাম লাগবে যদি আপনি নিম্নোক্ত কোন কাজ করতে চান-
* রিয়েলিস্টিক গেম খেলা
* ভিডিও গ্রহণ ও সম্পাদন করা
* থ্রিডি গ্রাফিক্স নির্মাণ করা
* হাই-রেজু্যলেশন ও ফুল-কালার পরিবেশে কাজ করা
* ফুল-কালার ইলাস্ট্রেশন ডিজাইন করা
মনে রাখবেন, আপনি যে ভিডিও কার্ডটি কিনতে চাচ্ছেন, সেটা আপনার কম্পিউটার ও মনিটর সাপোর্ট করবে কিনা যাচাই করে নিন৷
র্যাম ইন্সটল পদ্ধতি
র‌্যাম ইনস্টল পদ্ধতি খুবই সহজ ও সাবলীল৷ আসল ব্যাপার হচ্ছে পদ্ধতিটি সম্পর্কে জানা৷ আপনাকে কিছু বিষয় জানতে হবে-
* কতটুকু/ কি পরিমাণে র্যাম আপনার সিস্টেমে আছে
* কি পরিমাণ র্যাম আপনার দরকার
* ফর্ম ফ্যাক্টর
* র্যামের প্রকার টাইপ
* প্রয়োজনীয় টুলস
* ওয়ারেন্টি
* কোথায় লাগাতে হবে৷
র‌্যাম সাধারণত ১৬ মেগাবাইট এর গুণিতক আকারে বিক্রি হয় : ১৬, ৩২, ৬৪, ১২৮, ২৫৬, ৫১২, ১০২৪ (১ গিগাবাইট) অর্থাত্ আপনি আপনার সিস্টেমের র্যাম ৬৪ মেগাবাইট থেকে ১০০ মেগাবাইট করতে চান তাহলে আপনাকে আরও একটি ৬৪ মেগাবাইট র্যাম যোগ করতে হবে৷
আপনার কতটুকু র্যাম লাগবে তা নিশ্চিত হওয়ার পর কি ধরনের কর্ম ফ্যাক্টর (কার্ড টাইপ) কিনতে চাচ্ছেন তি নিশ্চিত করতে হবে৷ কম্পিউটারের সাথে যে ম্যানুয়েল পাওয়া যায় সেটা দেখে বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন৷ তবে মনে রাখতে হবে, আপনি যে অপশনটি নির্বাচন করবেন, সেটা অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের ডিজাইনের সাথে সমাঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে৷ এখনকার কম্পিউটারগুলোতে ডিআইএমএম ট ব্যবহৃত হয়৷ তবে অত্যাধুনিক কম্পিউটারগুলোতে আরআইএমএম টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়৷ ডিআইএমএম ও আরআইএমএম টগুলো দেখতে প্রায় একইরকম তাই আপনার কম্পিউটার কোনটি ব্যবাহর করছে তা নিশ্চিত হতে হবে৷ এ ধরনের টে ভিন্ন ধরনের কার্ড প্রবেশ করালে সিস্টেম বিকল হয়ে যেতে পারে, এমনকি কার্ডটি পুড়ে যেতে পারে৷
কি ধরনের র্যাম দরকার সেটাও আপনাকে জানতে হবে৷ কিছু কিছু কম্পিউটারে নির্দিষ্ট ধরনের র্যাম প্রয়োজন হয়, যেমন ৬০-৭০ ন্যানো সেকেন্ড ইডিও র্যাম৷ তবে অধিকাংশ কম্পিউটারে এ ধরনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে৷ সর্বোত্তম সুবিধা পাওয়ার জন্য, আপনি যে র্যাম নেবেন তা বর্তমান র্যামের স্পিড, প্যারিটি ও টাইপের সঙ্গে মিলতে হবে৷
কিছু কম্পিউটার ডুয়াল চ্যানেল র্যাম সাপোর্ট করে, যা আলাদা অপশন হিসেবেও থাকতে পারে৷ ডুয়াল চ্যানেল বলতে একই ধরনের র্যাম মডিউল জোড়ায় জোড়ায় ব্যবহার করাকে বোঝায়৷ যেমন একটি ৫১২ মেগাবাইট র্যাম থাকলে আরেকটি ৫১২ মেগাবাইট র্যাম লাগাতে হবে৷ ডুয়াল চ্যানেল যদি আলাদা অপশন হিসেবে থাকে তবে জোড়ায় জোড়ায় র্যাম লাগালে কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে সুবিধা পাওয়া যায়৷ কিন্তু এটা যদি দরকারি হয় (যেমন ম্যাক জি-৫ চিপ) সেক্ষেত্রে র্যাম চিপ যদি জোড়ায় জোড়ায় না থাকে তাহলে সিস্টেম ঠিকমত কাজ করে না৷
কম্পিউটার খোলার পূর্বে ভালভাবে দেখে নেবেন যেন আপনার ওয়ারেন্টি নষ্ট না হয়ে যায়৷ কিছু নির্মাতা কম্পিউটারের কেসটাকে সিল করে দেয় এবং ক্রেতাকে বলে দেয ভাল টেকনিশিয়ান ছাড়া র্যাম লাগাবেন না৷ যদি আপনি কম্পিউটার কেস খুলতে চান তাহলে কম্পিউটারটি বন্ধ করুন এবং প্লাগগুলো খুলে দিন৷ এন্টি স্ট্যাটিক প্যাড বা রিস্ট স্ট্রাপ ব্যবহার করে গ্রাউন্ড করে স্ট্যাটিক কারেন্ট ডিসচার্জ করতে হবে৷ এরপর স্ক্রু ড্রাইভার বা নাট-ড্রাইভার করে আপনার কম্পিউটারের কেসটি খুলুন৷ মেমোরি মডিউল ইনস্টল করার জন্য কোন টুলসের দরকার হয় না৷ মাদারবোর্ডের মেমোরি ব্যাংক নামের টগুলোতে র্যাম ইনস্টল করতে হয়৷ মেমোরি মডিউল-এর এক প্রান্তে খাঁজ কাটা থাকে যেন লাগানোর সময় প্রান্ত অদলবদল না হয়৷ এসআইএমএম ও কিছু ডিআইএমএম-এ মডিউলগুলো টের উপর ৪৫ ডিগ্রি কোনে বসাতে হয়৷ তারপর সামনের দিকে চাপ দিতে হয় যেন এটা মাদারবোর্ডের সাথে লম্বালম্বিভাবে অবস্থান করে এবং ছোট দুটি ধাতব ক্লিপ দুই প্রান্তে আটকে যায়৷ যথাযথভাবে পরীক্ষা করুন মডিউলটি ঠিকমত আটকে আছে কিনা৷
মডিউলটি ইনস্টল করার পর, কেসটি বন্ধ করে, প্লাগ লাগিয়ে কম্পিউটারটি চালু করুন৷ যখন পোস্ট (পাওয়ার অন সেলফ টেস্ট) শুরু করবে, তখন ইহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেমোরি রিকগনাইজ করবে৷
——[ মূল লেখক--মোঃ গোলাম কিবরিয়া, হুমায়ুন কবির, নাহিদ হোসেন]—————

ইন্টারনেটের প্রভাবে জৌলুস হারাচ্ছে গাছপালারা

ইন্টারনেটের প্রভাবে জৌলুস হারাচ্ছে গাছপালারা

ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস পয়েন্টগুলো গাছপালার ক্ষতি করছে৷ নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এমনটি বলছেন৷ তবে এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করা হবে আগামী বছরের শুরুতে৷

হল্যান্ডের আল্পেন আন ডেন রিন শহর৷ এই শহরের গাছের পাতাগুলো কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো৷
গাছগুলোও ঠিক যেন সতেজ নয়৷ শহর কর্তৃপক্ষ ঠিক বুঝতে পারছিলেননা এমনটি কেন হচ্ছে ? নগর প্রধান এরপর যোগাযোগ করলেন ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে৷ কারণ খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিলেন তাঁদের উপর৷ আর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন, গাছপালার এই অবস্থার জন্য অপরাধী আর কেউ নয়৷ ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কই এর জন্য দায়ী৷
গবেষকরা অবশ্য ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সির একটা মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন৷ বলছেন, ২৪১২ থেকে ২৪৭২ মেগা হার্টজ  ফ্রিকোয়েন্সির ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্টগুলোর গাছপালার ক্ষতি করার সম্ভাবনা নেই৷ গাছের ওপর প্রভাব ফেলছে ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সিগাছের ওপর প্রভাব ফেলছে ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সিবিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা থেকে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেয়েছেন তার সারাংশ তুলে ধরেছেন ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে৷ সেখানে তাঁরা বলেছেন, দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগের ওয়াইফাই থেকে পঞ্চাশ সেন্টিমিটার দূরত্বের মধ্যে গাছপালা থাকলে এর ধাতব পদার্থের প্রভাব গিয়ে পড়ছে গাছপালার উপর৷ যে কারণে গাছের পাতা আর্দ্রতা হারাচ্ছে এবং কিছু কিছু পাতা মরেও যাচ্ছে৷ তবে বিজ্ঞানীরা এ কথাও বলছেন, তাঁরা প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণায় এই বিষয়গুলো সনাক্ত করেছেন৷ এই বিষয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা চালানোর পরই কেবল বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব৷
পাইলট এই গবেষণায়, বিশটি গাছকে দু'ধরণের জায়গায় রাখা হয়েছিলো৷ এক জায়গায় ওয়্যারলেস পয়েন্ট ছিলনা এবং অন্যজায়গাটিতে ছিলো ওয়্যারলেস পয়েন্ট৷ দেখা গেছে, কেবল  যে জায়গায় ওয়্যারলেস পয়েন্ট ছিল সেখানকার গাছের পাতাগুলো বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে৷
গবেষণা দলটির প্রধান ড.আন্দ্রে ভান লামেরেন ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন,‘‘প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণাটি শেষ করতে আমাদের সময় লেগেছে তিন থেকে চারমাস৷ এখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আরও বিশদভাবে গবেষণা করতে চাই৷''
বিশাল পরিসরে সারা দেশের গাছপালার জন্য এই বিষয়টিকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন নেদারল্যান্ডের একটি গবেষণা দল৷ আর তাঁদের গবেষণার অংশ হিসেবে সেই দেশের একটি শহরের উপর এই বিষয়টি নিয়ে পাইলট গবেষণা চালিয়েছেন ড. ভান৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

Monday, November 8, 2010

বাংলা পত্রিকা

পশ্চিম বাংলা
2 অবসর                   http://www.abasar.net/
2 আজকাল                 http://www.aajkaal.net/
2 কৌরব                   http://camp.kaurab.com/
2 গণশক্তি                 http://www.ganashakti.com/
2 বর্তমান                  http://www.bartamanpatrika.com/
2 সংবাদ                   http://www.dainiksambad.com/
2 সুপ্রভাত                  http://www.suprovat.com/
2 সোনাঝুরি                   http://www.sonajhuri.com/sona%2034/content_html/sonajhuri_main.htm

বাংলাদেশ
2 অন্যন্যা                    http://www.my-anannya.com/
2 আমার দেশ                http://amardeshbd.com/
2 ইত্তেফাক                    http://ittefaq.com/
2 ইনকিলাব                   http://www.dailyinqilab.com/
2 একতা                      http://www.cpbdhaka.org/admin/Ekota/
2 জনকন্ঠ                    http://www.dailyjanakantha.com/
2 নিসর্গ                      http://www.nature.com.bd/
2 মানবজমিন                http://www.manabzamin.net/
2 মেঘবার্তা                   http://www.meghbarta.org/
2 যুগান্তর                     http://jugantor.com/
2 সমকাল                    http://www.shamokal.com/
2 সরগম                     http://homeviewbangladesh.com/sargam/010707/
2 সাপ্তাহিক ২০০০          http://www.shaptahik2000.com/





বাংলার বাইরে
2 অনির্বাণ                    http://www.anirban.com/
2 অভিবাস                    http://japanbangladesh.com/
2 সব                     http://www.utsabpatrika.com/
2 এখন সময়                 http://www.akhonsamoy.com/
2 পত্রিকা                     http://www.potrika.co.uk/home.htm
2 পরবাস                     http://www.parabaas.com/
2 বাংলাদেশ                  http://www.weeklybangladesh.com/
2 পড়শী                      http://www.porshi.com/
2 প্রিয়বাংলা                   http://www.priyobangla.com/
2 মাধুকরী                    http://www.maadhukari.com/
2 মানচিত্র                     http://www.manchitro.net/
2 শব্দগুচ্ছ                    http://members.aol.com/shabdaweb/
2 সুরমা                       http://www.surma-online.com/
2 সৃষ্টি                         http://sristi.tk/
2 স্বাপ্নিক                      http://shapnik.tk/
2 মরুপলাশ                    http://www.marupalash.net/