Sunday, May 1, 2011

মোবাইল অন-লক......

আসসালামু আলাইকুম! 
                        আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আর একটি লেখা শেয়ার করব। তা মোবাইল নাম্বার লক-আনলক নিয়ে। 


কখনো আমদের অসাবধানতা বসত বা ইচ্ছা করে সিকিউরিটির জন্য মোবাইলের নাম্বার লক করি
কিন্তু পরে ভুলে যাই....

তাই বড় বিপদে পড়ি...

সুতরাং আমাদের সার্ভিস সেন্টারে যেতে হয়...টাকা খরচ করতে হয়

এবার আমাদের টাকা আমাদের পকেটেই থাকবে....মোবাইলকে করবো বশে.....




এ সফ্টওয়ারটি মূলত nokia মোবাইলের জন্য..
নোকিয়ার password ডিফল্ট ভাবে ১২৩৪৫ থাকে..
এলজি বা অন্য সেলফোনের ০০০০ থাকে
এটি না কাজ করলে এই সফ্টওয়ারটি ব্যবহার করবেন...
আসুন দেখে নিই নোকিয়ার কোন কোন সেটে এই সফ্টওয়ারটি কাজ করবে...


*DCT3 

2100 3210 3310 3330 3410 402 5110 
5210 5510 6110 6150 6210 6250 6500 7110
8210 8250 8850 8890 9000 9100 9210 


*DCT4

1100 1101 1110 1600 2300 2600 2650
3100 3120 3200 3220 3510 3510i 3650 
3660 5100 5140 6020 6021 6030 6060 6070
6080 6100 6101 6103 6170 6111 6220 6230
6260 6310 6310i 6510 6810 6820 6822 7200 
7210 7250 7250i 7260 7270 7280 7360 7600 
7610 7650 7700 8310 8800 8910 8910i 


5500 Sport, 6131, 6125, 7380,
7360, 7370, E70, E61, E60, 3250,
6280, 6681, 6680, 6630, 6233, 6151,
E50, 7390, 7373, 5200, 5300, 6136, 
6288, N70, N71, N72, N73, N80, N91, 
N93, N70 Music Edition, N95, N91 8GB, 
6300, 6086, N76, N93i, N73 Music Edition,
E90, 3110 classic, 6110 Navigator, E65, E61i,
N80 Internet Edition, 5700, 5070, 6120 Classic, 
1650, 2630, 1200, 1208, 2760, 3109 Classic, 6500 slide,
3500 classic, 6267, 6121 classic, N81 8GB, N81, N95 8GB,
7900 Prism, 7500 Prism, 6555, 5610, 5310, E51, 6301, N810,
N82, 3110 Evolve, 8800 Arte, 8800 Sapphire Arte, 3120 classic,
2600 classic, N78, N96, 7900 Crystal Prism etc.
2760, 2626, 2660, 2630, 2610, 2610b, 1112b, 1112, 1110i, 1200,
1200b, 1208, 2310, 8800 Sirocco


বিঃদ্র :- নোকিয়া ছাড়াও lg,sony,siemens samsung এবং আরো অনেক


আপনারা ভাবছেন আমার সেটের নাম্বার কি করে বার করবো তাই তো....
আসুন দেখি..
নোকিয়ার ক্ষেএে *#০০০০# প্রেস করুন

ফোন লক হলে নিচের উপায়
প্রতিটি মোবাইলের (চাইনা সেট বাদে) পিছনে...অর্থাৎ ব্যটারিটা খুলে দিলে..তার নিচে মোবাইলের 
গায় mobile model no. লেখা থাকে...
এবার ctrl f প্রেস করে model no. বসিয়ে দেখুন আপনার 
মোবাইলটি এখানে আছে কিনা

ও সফ্টওয়ারটি কি ভাবে ব্যবহার করতে হয় দেখুন
প্রথমে সফ্টওয়ারটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন...

সফ্টওয়ারটি পোটেবল..তাই ইন্সলের ঝামেলা নেই...মাত্র ২৩০.৭৭কেবি..জিপ অবস্থায় আছে.
এবার unzip করুন...লাল পতাকার মতো অংশে ডবল ক্লিক করুন
এবার নিম্ন রূপ....

1


১/প্রথমে IMEI নম্বর বসাতে হবে...নির্দিষ্ট ঘরে..
এবার প্রশ্ন আপনার IMEI নম্বর পাবেন কি ভাবে?
যেকোন সেটে *#০৬# প্রেস করলেই IMEI নম্বর পাবেন স্বয়ংক্রিয় ভাবে
আবার প্রশ্ন সেট যদি number lock থাকে তাহলে কি করবো......?
খুব ভালো প্রশ্ন ...দেখুন তবে..
প্রতিটি মোবাইলের (চাইনা সেট বাদে) পিছনে...অর্থাৎ ব্যটারিটা খুলে দিলে..তার নিচে মোবাইলের গায় mobile IMEI নম্বর লেখা থাকে...
এই ভাবে

2

মনে রাখবেন প্রথম থেকে ১৫টি সংখ্যা নিতে হবে...কোনো space বা (.)dot বা (/ )স্ল্যাস দেওয়া যাবেনা

২/এবার MCC+MNC ঘরটি ফাঁকা রাখবেন..
৩/এবার যেখানে united kingdom লেখা আছে সেখানে ডান দিকে এিভুজ বোতামে ক্লিক করে
India সিলেক্ট করুন
৪/এরার পরেএ ধাপে আপনি কোন companyর সার্ভিস ব্যবহার করছেন সিলেক্ট করুন
৫/এরার আপনার কি মোবাইল নোকিয়া না অন্য কিছু সেট সেটা সিলেক্ট করুন
৬/আপনার সেটটি কিসের মধ্যে পরে তা দেখে নিন উপর থেকে 
DCT3 না *DCT4
এবার তা সিলেক্ট করুন

৭/ সবশেষে নিচের calculae বোতাম প্রেস করুন....



ব্যাস হয়ে গেলো.....

কোড গুলি কিভাবে ব্যবহার করবেন.....
১/কোনো সিম কার্ড ছাড়াই মোবাইল ফোনটি power on করুন
২/অপেক্ষা করুন..insart a sim card..লেখা ওঠা পর্যন্ত
৩/শুরু করুন # key দিয়ে
৪/ p এর জন্য * key ৩বার টিপুন (এক সেকেণ্ডের মধ্যে)
৫/ w এর জন্য * key ৪বার টিপুন (এক সেকেণ্ডের মধ্যে)
৬/ + এর জন্য * key ২বার টিপুন (এক সেকেণ্ডের মধ্যে)

উদাহরণ
# *** **** ** 1234567890 ** 1 #

কোনো space দেবেন না
প্রথমটি না হলে দ্বিতীয়টি চেষ্টা করুন...এই ভাবে
যদি আপনি সফল হন তাহলে ম্যাসেজ আসবে 'code Accepted'বা 'restgriction Off'




আশাকরি সকলের ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন। আমার জন্যে দু'য়া করবেন।


কৃতজ্ঞতাঃ কলকাতা ব্লগার

Saturday, April 16, 2011

লোগো ডিজাইন তৈরীর নিয়ম


লোগো ডিজাইন গ্রাফিক ডিজাইনারদের একটি গুরুত্বপুর্ন কাজ। প্রায় প্রতিটি প্রতিস্ঠানই তাদের নিজস্ব লোগো ব্যবহার করে। এই লোগোগুলি তাদের পরিচিতি তুলে ধরে। কাজেই লোগো তৈরী সময় তাকে সুন্দর রাখা যেমন জরুরী তেমনি সেই প্রতিস্ঠানকে প্রকাশ করাটাও গুরুত্বপুর্ন। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, লোগো ডিজাইনের সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য করা উচিত। কিংবা ভাল এবং মন্দ লোগোর পার্থক্য বিচার হয় কিভাবে। এবিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।

লোগো তৈরী আগে কিছু বিষয় জেনে নেয়া জরুরী। সেগুলি হচ্ছে;

.          লোগোটি কি একেবারে নতুন তৈরী হচ্ছে নাকি আগের লোগোর বদলে ব্যবহার করা হবে।
.          লোগোটি ব্যবহার করবে কে। আপনি কোন প্রতিস্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন, অথবা নিজের কোম্পানীর জন্য লোগো তৈরী করতে পারেন।
.          লোগো কোন ধরনের বক্তব্য তুলে ধরবে।
.          লোগোর পেছনের প্রতিস্ঠানের কাজ কি।

কোন প্রতিস্ঠানের কাজ করার সময় আপনার প্রথম কাজ, তারকাছে সেই কোম্পানী সম্পর্কে জেনে নেয়া। তারকাছে এমনকিছু শব্দ (Keyword) লিখে নিন যা কোম্পানীর পরিচিতি তুলে ধরে। যেমন Simple, Low cost, Young, Joyful, Inventive, Friendly, Experienced, Energetic, Aristocratic ইত্যাদি। তরুনদের জন্য যারা কাজ করে তাদের লোগো এবং পরিনত বয়সীদের নিয়ে কাজ করা প্রতিস্ঠানের মধ্যে পার্থক্য থাকে। তেমনি যারা কমদামে জিনিষপত্র বিক্রি করে এবং যারা অভিজাত জিনিষপত্র বিক্রি করে তাদের লোগোর ধরনও আলাদা।

কিওয়ার্ডের সাথে একবাক্যে কোম্পানীর পরিচিতি লিখে নিন। প্রতিস্ঠানের কাজ কি, এই প্রশ্নের উত্তরে যা পাওয়া যায় সেটা গুরুত্বপুর্ন।

লোগোর রং ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিন। লোগো কোথায় ব্যবহার করা হবে জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাধারনভাবে লোগো সবযায়গাতেই ব্যবহার হওয়ার কথা, যেমন বিজনেস কার্ড, লেটারহেড প্যাড, ওয়েবসাইট, পোষ্টার, টিসার্ট, ব্যানার, প্যাকেট, গাড়ি ইত্যাদিতে। সবগুলি বিবেচনায় এনে রং বাছাই করুন।

একাধিক রং ব্যবহার করলে এমন রং বাছাই করুন যেখানে সহজে একটি থেকে অপরটি পৃথকভাবে চেনা যায়। লোগো কখনো সাদাকালো হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। সেখানে এক রং থেকে আরেক রং পৃথকভাবে চেনার মত রং ব্যবহার করুন।

সবচেয়ে পরিচিত লোগোগুলি ভালভাবে দেখে নিন। সেগুলি একদিকে অত্যন্ত সরল, অন্যদিকে বক্তব্য প্রকাশে সমর্থ। এই শ্লোগানগুলি নিশ্চয়ই আপনার পরিচিত, Think Different, Just Do It, Finger-lickin’ good, Impossible is nothingইত্যাদি। তাদের লোগো এই বক্তব্য প্রকাশ করে।

ফন্ট ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিন। মাইক্রোসফট, কোকাকোলা এই দুটি লোগোতে ব্যবহৃত ফন্টের দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বোঝা যায় একটি প্রযুক্তি অপরটি তরল কিছু বুঝায়। প্রতিস্ঠানের কাজের সাথে মিল রেখে ফন্ট ব্যবহার করুন।

লোগো কেন প্রয়োজন ? লোগো একটি প্রতিস্ঠানকে পৃথকভাবে চিনতে সাহায্য করে। প্রতিস্ঠানের পরিচিতি অন্যদের কাছে তুলে ধরে। কাজেই সেটা একদিকে যেমন সরল হবে তেমনি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়ই থাকবে। উদাহরনের ছবির লোগোগুলি দেখুন। বিশ্বখ্যাত এই লোগোগুলি একদিকে সরল অন্যদিকে বক্তব্যধর্মী।

ভাল লোগোর বৈশিষ্টগুলি একসাথে করলে সংক্ষেপে যা দাড়ায় তা হচ্ছে;
.          সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বক্তব্য তুলে ধরা একটি সরল ছবি।
.          ছবি প্রতিস্ঠানের কাজের ধরনের সাথে মানানসই।
.          প্রতিস্ঠানের নাম সেখানে রয়েছে।
.          ফন্ট সহজবোধ্য। লোগোতে কখনো একের অধিক ফন্ট ব্যবহার করবেন না। লোগোর ফন্ট যেন প্রতিককে ছাপিয়ে না যায়।
.          লোগোটি সাদাকালোতেও বোধগম্য।


লোগো তৈরীর সফটঅয়্যার
সহজে লোগো তৈরীর জন্য কিছু সফটঅয়্যার পাওয়া যায়। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই তেমনকিছু ব্যবহার করতে যাচ্ছেন না। আপনার ক্রিয়েটিভ লোগো তৈরী করার কথা, তৈরী কিছু ব্যবহার করা না।
গ্রাফিক ডিজাইন ভেক্টর অথবা বিটম্যাপ দুধরনের হতে পারে। দুভাবেই সুন্দর লোগো তৈরী করা সম্ভব। বিটম্যাপের সমস্যা হচ্ছে যদি কখনো বড় (কিংবা ছোট) করা প্রয়োজন হয় তাহলে মান নষ্ট হয়। ভেক্টর সেদিক থেকে সুবিধেজনক।
কাজেই লোগো তৈরীর জন্য ফটোশপ ব্যবহার না করে ইলাষ্ট্রেটর কিংবা কোরেল ড্র এর মত কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করুন।

Monday, April 11, 2011

কম্পিউটার ব্যবহারে প্রধান ভুলগুলি থেকে সাবধান থাকুন



কম্পিউটারের নানারকম সমস্যার সাথে সকলেই কমবেশি পরিচিত ব্যবহারকারী সচেতন হলে এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় যে কারনে আপনি সবচেয়ে বড় বিপদের সামনে পড়তে পারেন তা হচ্ছে;

পাওয়ার প্রোটকশন ব্যবহার না করা : আপনি হয়ত ইউপিএস/এভিআর ব্যবহার করেন না বিপদের এরচেয়ে বড় কারন হতে পারে না বিদ্যুতের ভোল্টে কমবেশি হওয়াই সমস্যাই একমাত্র কারন নয়, আকাশে বিদ্যুত চমকালে সেটাও আপনার পিসিতে চলে আসতে পারে, আর ফল হবে সমস্ত কিছু পুড়ে বাতিল হয়ে যাওয়া

ফায়ারওয়াল ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করা : আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ এন্টিভাইরাস/ফায়ারওয়ার ব্যবহার করেন না, আপনার কম্পিউটার আক্রমনের শিকার হবেই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, স্প্যাম, স্পাইওয়্যার আপনার কম্পিউটারকে ব্যবহারের অনুপযোগি করে তুলবে

সবকিছু ইনষ্টল এবং আনইনষ্টল করা : সামনে যে সফটওয়্যার পেলেন সেটাই ইনষ্টল করলেন, ভাবলেন আন-ইনষ্টল করে ফেলব আপনি হয়ত লক্ষ্য করলেন না আনইনষ্টল করার পরও অনেক ফাইল থেকে যায় বিশেষ করে পাইরেটেড সফটওয়্যারে/গেমে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কোড ইচ্ছে করে ঢুকিয়ে দেয়া হয় যতটা সম্ভব শুধুমাত্র প্রয়েজনিয় সফটওয়্যার ইনষ্টল করুন

হাডডিস্ক ভর্তি করে রাখা/ডিফ্রাগমেন্ট না করা : আপনি হয়ত বহুকিছু হার্ডডিস্কে কপি করে জমিয়ে রেখেছেন এবং নিয়মিত ডিফ্রাগমেন্ট করেন না যায়গা কম থাকা এবং ডিফ্রাগমেন্ট না করা দুটি কারনেই আপনার কম্পিউটারের গতি কমে যাবে

সব এটাচমেন্ট ওপেন করা : আপনার মেইলবক্সে অনেক মেইল এসে জমা হয়েছে যার প্রেরককে আপনি চেনেন না সেক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে সেগুলি না খোলা এভাবে ভাইরাস ছড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন পাঠানো হয় একবার এগুলি ব্যবহার করলে মেইল বক্সে হাজার হাজার মেইল আসতে শুরু করবে

সব যায়গায় ক্লিক করা : ইমেইল এটাচমেন্ট একমাত্র যায়গা না, ইমেইলে কিংবা বিভিন্ন ওয়েব সাইটে যে লিংকগুলি রয়েছে সেখানে নিশ্চিত না হয়ে ক্লিক না করা ভালো নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করে নিন, সেটা কি আপনার কোন প্রয়োজন আছে ? পাইরেসি, পর্নগ্রাফি ইত্যাদি সাইটে যাওয়ার অর্থ কম্পিউটারের জন্য বিপদ ডেকে আনা

সবকিছু শেযার করা : অন্যের সাথে জিনিষপত্র শেয়ার করা খুব ভাল, তবে ইন্টারনেটে শেয়ার করার আগে ভাল করে ভেবে নিন যাকে বিশ্বাস করতে পারেন তারসাথে অবশ্যই ফাইল/ফোল্ডার শেয়ার করতে পারেন কিন্তু মাঝখানে আরেকজন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যচুরি থেকে শুরু করে ভাইরাসের আক্রমন যেকোনকিছুই ঘটতে পারে।

পাশওয়ার্ডে সতর্ক না হওয়া : কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় একটি ভুল পাশওয়ার্ডের বিষয়ে শতর্ক না হওয়া কখনো নিজের বা পরিচিত কারো নাম, যায়গার নাম ইত্যাদি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না কোন শব্দের সাথে সংখ্যা ব্যবহার করে পাশওয়ার্ড ব্যবহার করুন কখনো সেটা ভুলে যাবেন না

ব্যাকআপ রাখাকে গুরুত্ব না দেয়া : শতরকম সাবধানতা সত্ত্বেও আপনার হার্ডডিস্ক ক্রাশ করতে পারে, অন্য কোন কারনে সমস্যা হতে পারে মুহুর্তের মধ্যে আপনার সমস্ত কাজ হারিয়ে যেতে পারে। গুরুত্বপুর্ন ফাইলগুলো নিয়মিত ব্যাকআপ নেয়ার অভ্যেস করুন এখন সামান্য পরিশ্রম ভবিষ্যতের অনেক সময় বাচিয়ে দেবে

ইমেইল সফটঅয়্যার ব্যবহার : আউটলুকে জিমেইল ব্যবহার

আপনি হয়ত গুগলের জিমেইল, কিংবা ইয়াহু মেইল ব্যবহার করছেন। নতুন ইমেইল পড়ার জন্য কিংবা মেইল পাঠানোর জন্য আপনাকে তাদের সাইটে যেতে হয়। এমনকি, মেইলবক্সে থাকা আগের কোন মেইল যদি পড়তে চান তাহলেও। ইন্টারনেটে সংযুক্ত না থাকলে আপনি সেটা করতে পারেন না।
অথচ অন্য ইমেইল সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে আপনি অনায়াসে সেটা ওপেন করে আগের মেইল পড়তে পারেন। এজন্য ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন নেই। এই সফটঅয়্যারের তালিকায় রয়েছে মাইক্রোসফটের আউটলুক এক্সপ্রেস, মোজিলা থান্ডারবার্ড থেকে শুরু করে অর্থ দিয়ে কেনা ইমেইল সফটঅয়্যারগুলিও।
কিভাবে আপনার বিনামুল্যের ইমেইলকে এধরনের সফটঅয়্যারের সাথে ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
এজন্য আপনাকে দুটি কাজ করতে হয়। একটি কাজ হচ্ছে আপনার মুল ইমেইল সাইটে গিয়ে তাকে নির্দিস্ট সফটঅয়্যারের দিকে পাঠানো। অপরটি হচ্ছে সেই সফটঅয়্যারকে সেটি গ্রহন করার জন্য কাষ্টমাইজ করা।
এখানে মেইল সার্ভার হিসেবে গুগলের জিমেইল এবং সফটঅয়্যার হিসেবে আউটলুক উল্লেখ করা হচ্ছে। আপনি অন্য ব্যবস্থায় কাজ করলেও মোটামুটি এই পদ্ধতেই আপনার মেইল কনফিগার করার সুযোগ পাবেন। উদাহরনের অপারেটিং সিষ্টেম উইন্ডোজ এক্সপি। অন্য অপারেটিং সিষ্টেমে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
.          আপনার জিমেইল পেজ ওপেন করুন এবং সেটিং থেকে মেইল সেটিং সিলেক্ট করুন।
.          ফরওয়ার্ডিং টু পিওপি ট্যাব সিলেক্ট করুন।
.          আপনার মেইলকে অন্য ই-মেইল এড্রেসে পাঠানোর জন্য Forward a copy of incoming mail to অংশে ইমেইল এড্রেস টাইপ করে দিন।
.          পিওপি (POP) এনাবল করুন।
আউটলুট এক্সপ্রেস কনফিগার করা
.          আউটলুক ওপেন করুন এবং নতুন ইউজার তৈরী করুন।
.          এখানে দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেটিং ঠিক করুন।

এরপর সরাসরি আউটলুক থেকে জিমেইল এর মেইল পাওয়া যাবে এবং এখান থেকেই মেইল পাঠানো যাবে।

Sunday, April 10, 2011

দু’টি দূর্লভ সফটওয়্যার tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.

এই সফটওয়্যার দু’টির ভক্ত নেই এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া দায়।প্রথমেই আপডেট প্রসঙ্গে আসছি tuneUp utilities 2011 ভার্সনটি নিয়ে।আশা করছি অনেকেই উপকৃত হবেন
tuneup utilities portable 11 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes

আপনার কম্পিউটারকে ঝামেলামুক্ত রাখতে এই সফটওয়্যারটির জুড়ি নেই।আপনার কম্পিউটারের কি কি সমস্যা তা চিহ্নিত করে সমাধান দেয়াই এর কাজ।যারা আগ্রহী তারা ডাউনলোড করুন মিডিয়া ফায়ার থেকে মাত্র ১৯ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি।
100510 tuneuputilities2011 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

brand tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
হটফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক(আপডেট)

ইন্সটলের পর যখন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন কী’জেন ওপেন করুন
s2 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
মনে রাখবেন লাল চিহ্নিত জায়গাতে সাল ২০১১ সিলেক্ট করে নিবেন।আসুন ছবিতে দেখি এর কার্যপ্রনালী
s3 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
s4 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
s5 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
s6 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
s7 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
এবার আপনার ভার্সনটি আপডেট করা আছে কি না দেখুন
s1 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
সফটওয়্যারটি কাজ করলে আমার জন্য দোয়া করবেন আর কাজ না করলে গালি দিয়েন না।ধন্যবাদ।
<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ <ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<ঃ<
এবার আসছি আর একটি দূর্লভ সফটওয়্যার techsmith snajit 10 নিয়ে।
আর বেশী কিছু বলতে চাই না।শুধু এইটুকু বলতে চাই যারা টিউন করেন কিংবা কম্পিউটারের পেজে বিভিন্ন কিছুকে বিভিন্নভাবে ইন্ডিকেট করতে সফটওয়্যারটির জুড়ি নেই।মন চাইলে ডাউনলোড করতে পারেন ২৮ মেগাবাইটের এই ২০১০ ভার্সনটি ডাউনলোড করতে পারেন মিডিয়া ফায়ার থেকে
s91 tuneUp utilities 2011 + techsmith snagit 2010.দূর্লভ সফটওয়্যার দুটির কোনটি নিবেন নাকি দুটোই নিবেন সিদ্ধান্ত আপনার। | Techtunes
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

পাসওয়ার্ড দেয়াই আছে এক্টিভ করে ব্যবহার শুরু করুন।সময় নষ্ট করে কষ্ট করে আমার এই টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না।সেই সাথে ভালো থাকবেন এমন প্রত্যাশা রেখে বিদায় নিচ্ছি।আল্লাহ হাফেজ।

Monday, April 4, 2011

ইন্দ্রলাল রায়: প্রথম বাঙালি ফাইটার পাইলট ও প্রথম মহাযুদ্ধের বিস্মৃতপ্রায় এক বীরসেনানী






দিনটি ছিল ১৯ জুলাই ১৯১৮। প্রথম মহাযুদ্ধ চলছে। ফ্রান্সের আকাশে জার্মান বিমানবাহিনী ও ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনী তুমুল আকাশযুদ্ধে লিপ্ত। ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ ফাইটার পাইলট সেদিন ডগফাইটের সময় একটি জার্মান জঙ্গীবিমান গুলি করে ভূপাতিত করলেন। এটি ছিল তাঁর দশম শত্রুবিমান শিকার–যে কৃতিত্বের জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘ফ্লাইং এইস’ (Flying Ace) খেতাব।
এই খেতাব পাওয়ার জন্য যেখানে সাধারণত পাঁচটি শত্রুবিমান ঘায়েল করাই যথেষ্ট, সেখানে তিনি খতম করেছিলেন দশটি! আকাশযুদ্ধের সেই প্রথম যুগে, সদ্যযুবক এক ফাইটার পাইলটের মাত্র তের দিনের, ১৭০ উড়াল-ঘন্টার এক অতি-সংক্ষিপ্ত লড়াই-জীবনের পক্ষে এটি ছিল এক অসামান্য বীরত্বপূর্ণ কৃতিত্ব–যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই অকুতোভয় বীরসেনানীর নাম ইন্দ্রলাল রায়–প্রথম বাঙালি ফাইটার পাইলট এবং প্রথম বাঙালি বা ভারতীয় ‘ফ্লাইং এইস’।
বরিশালের এক জমিদার পরিবারের সন্তান ইন্দ্রলাল রায় ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ব্যারিস্টার পি. এল. রায় ও মাতার নাম ললিতা রায়। পড়াশোনার জন্য দশ বছর বয়সে তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ডে পড়ার জন্য বৃত্তিলাভ করেন।
কিন্তু অক্সফোর্ডে পড়তে না গিয়ে তিনি বিমানচালনার নেশায় ১৯১৭ সালের এপ্রিল মাসে ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনী (Royal Flying Corps)-তে  অফিসার ফ্লাইং ক্যাডেট হিসেবে নাম লেখান। একই বছরের ৫ জুলাই তারিখে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। পেশাগত প্রশিক্ষণশেষে তিনি ৩০ অক্টোবর ১৯১৭ তারিখে ফ্রান্সে যুদ্ধরত রাজকীয় ৫৬ স্কোয়াড্রনে যোগ দেন।
এর কিছুদিন পরই, ৬ নভেম্বর ১৯১৭ তারিখে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। কথিত আছে, হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে ওঠেন। তবে তাঁকে শারীরিক কারণে ‘গ্রাউন্ডেড’ করা হয়। তারপর তিনি অনেক সাধ্য-সাধনা করে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও, আবার সক্রিয় যুদ্ধে ফিরে যান এবং তাঁকে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। ১৯১৮ সালের  ১৯ জুন তারিখে তাঁকে ফ্রান্সে যুদ্ধরত রাজকীয় ৪০ স্কোয়াড্রনে বদলি করা হয়।
আকাশযুদ্ধে তাঁর প্রথম সাফল্য আসে ৬ জুলাই ১৯১৮ তারিখে একটি জার্মান জঙ্গীবিমান ধ্বংস করার মাধ্যমে। এরপর তিনি ৮ জুলাই তারিখে চার ঘন্টায় তিনটি; ১৩ জুলাই দুইটি; ১৫ জুলাই দুইটি; এবং ১৮ জুলাই তারিখে একটি শত্রুবিমান ধ্বংস করেন। তাঁর সবশেষ সাফল্য আসে ১৯ জুলাই তারিখে, যার কথা লেখার প্রথমেই বলেছি। ৬ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত মাত্র তের দিনে দশটি শত্রুবিমান ঘায়েল করে তিনি ঠাঁই পেয়ে যান ইতিহাসের পাতায়।
এর তিন দিন পর, ২২ জুলাই ১৯১৮ তারিখে ফ্রান্সের আকাশে জার্মান বিমানবাহিনীর সাথে এক সম্মুখ যুদ্ধে তাঁর এসই-৫এ বিমানটি ফ্রান্সের জার্মান অধিকৃত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। জার্মান সেনারা তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সেখানেই সমাহিত করে। কথিত আছে, তাঁর অসাধারণ বীরত্বের কথা মনে রেখে সেই জার্মান শত্রুসেনারাও তিনি যেখানে পতিত হয়েছিলেন, সেখানে ফুলের তোড়া রেখে আসে। ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনী তাঁর অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে মরণোত্তর, অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ‘ডিস্টিংগুইশড ফ্লাইং ক্রস’ (DFC) পদকে ভূষিত করে।
ভারত সরকার ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ইন্দ্রলাল রায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে। এছাড়া ফ্রান্সে তাঁর সমাধির ওপর বাংলা ও ফরাসি ভাষায় গৌরবগাঁথা লেখা হয়। তাঁর নামে কলকাতায় একটি সড়কও রয়েছে। এই বাঙালি বীরের পরিবারের আরেক সন্তান, এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জিও ছিলেন একজন ফাইটার পাইলট ও স্বাধীন ভারতের প্রথম বিমানবাহিনী প্রধান।
আমরা কয়জন জানি এই বাঙালি বীরসন্তানের নাম?
তথ্যসূত্র:
১। এশিয়ান্‌স ইন ব্রিটেন: ফোর হান্ড্রেড ইয়ার্‌স অব হিস্ট্রি, রোজিনা ভিস্রাম, ২০০২।
২। উইকিপিডিয়া
৩। হাবপেজেস ও অন্যান্য।
প্রকাশিত লিংক:
১। সোনার বাংলাদেশ ব্লগ
২। মুক্তব্লগ
৩। নাগরিক ব্লগ
৪। চতুর্মাত্রিক ব্লগ
৫। শব্দনীড়
৬। আমার ব্লগ
৭। আমার বর্ণমালা ব্লগ
৮। বিডিনিউজ২৪ ব্লগ